আভা ডেস্কঃ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলায় পৃথক দুই ধারায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের আট বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া, তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আর তিন মাস বিনাশ্রম কারাগারে থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এক ধারায় তিন বছর এবং আরেক ধারায় ৫ বছর সাজা দেওয়া হয়েছে বাবরকে। তবে দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে, সে হিসেবে বাবরকে ৫ বছর কারাভোগ করতে হবে বলে বিচারক আদেশে উল্লেখ করেছেন।
রায়ে আসামির জ্ঞাত আয় বর্হিভূতভাবে অর্জিত ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকাসহ আসামির প্রাইম ব্যাংক গুলশান শাখার অ্যাকাউন্টে জমা করা মালিকানাবিহীন ১০ লাখ ইউএস ডলার বা ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দেন আদালত। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ওই টাকা আদায়ের নির্দেশ দেন আদালত। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হলে জেলা কালেক্টর জরিমানার অর্থের জন্য আসামির সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রয়ের মাধ্যমে জমা করতে পারবেন।
রায় ঘোষণার আগে লুৎফুজ্জামান বাবরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ৪ অক্টোবর দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
২০০৭ সালের ২৮ মে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে যৌথবাহিনীর হাতে আটক হওয়া এ আসামির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় দায়ের মামলা করা হয়। মামলাটি করেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন। তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংকে দুটি এফডিআর-এ ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকার তথ্য গোপনের কথা উল্লেখ করা হয়। একই বছরের ১২ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।
মঙ্গল অক্টো. ১২ , ২০২১
আভা ডেস্কঃ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, অকারণেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাচ্ছে। মহামারিকালে অনেক যৌক্তিক কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু এখন কোন কারণ ছাড়াই প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে, পরিবারের খরচ বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু […]
এই রকম আরও খবর
-
৩০ জুন, ২০২১, ৬:৪৩ অপরাহ্ন
-
৮ এপ্রিল, ২০২১, ৯:২৭ অপরাহ্ন
-
২১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:১৮ অপরাহ্ন
-
২৩ মে, ২০২১, ১০:৫২ অপরাহ্ন
-
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৯:২৭ অপরাহ্ন
-
২৭ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:৩৭ অপরাহ্ন