আভা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কর্মরত বাংলাদেশিদের নিয়োগ দিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে এটা দূতাবাসগুলোর গর্হিত কাজ বলে মনে করেছি। নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেশিদের বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে গ্রহণ করে ঠিক করেনি। সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে তার ভোট প্রদান করেছেন। তিনি সকাল ৮টায় কেন্দ্রে ইলেক্ট্রোনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ।
এরআগে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি সকাল ৭ টা ৫৫ মিনিটে সিটি কলেজে পৌঁছান। পরে তিনি প্রথম ভোটার হিসেবে কেন্দ্রের ২৪১ নন্বর কক্ষে গিয়ে ভোট প্রদান করেন।
দূতাবাসে কর্মরত বাংলাদেশিদের বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, যারা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, তাদের দেশে ভোট কেমন হয়; এমন কিছু কিছু নমুনা আমাদের জানা আছে।
এই কাজ তারা ঠিক করেনি। তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে বাংলাদেশি নাগরিক যারা চাকরি করেন, তাদেরকে তারা বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিয়ে অত্যন্ত গর্হিত কাজ করেছে।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, তারা বিদেশি হয় কি করে? পর্যবেক্ষক হয় কি করে? ওখানে তারা চাকরি করে, তাদেরকে তারা বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠায় কি করে। সঠিক কাজ তারা করেননি।
শেখ হাসিনা বলেন, এদের মধ্যে অনেক বৈরী লোক আছে। কারও পিতা হয়তো ৭৫-এ হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বা কেউ ছিলো স্বাধীনতাবিরোধী। মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা চালিয়েছে। তাদের উত্তরসূরি এমন অনেক আছে। তারা রাষ্ট্রদূতদের ওখানে চাকরি করে। তাদের নামও তারা ওখানে দিয়েছে।
এসময় নির্বাচন কমিশনেরও সমালোচনা করেন তিনি। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সঠিক কাজ তারা করেনি। নির্বাচন কমিশন এটা কীভাবে গ্রহণ করল? আইনে স্পষ্ট বলা আছে, বিদেশি পর্যবেক্ষক মানে বিদেশি হতে হবে। দেশের নাগরিক, কীভাবে তাদের বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করেছে তা আমি জানি না। এটা তারা গ্রহণ করে ঠিক করেনি।
তিনি বলেন, তাদের উচিত ওই সমস্ত পর্যবেক্ষক, যারা বাংলাদেশের নাগরিক বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি করে তাদের পর্যবেক্ষক হিসেবে গ্রহণ না করে এবং তারা ভোট কেন্দ্রে যাতে আসতে না পারে। ভোট দিতে আসতে পারে, কিন্তু পর্যবেক্ষক হিসাবে না।
শনিবারের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোট পর্যবেক্ষণে ১০টি পশ্চিমা দেশের দূতাবাস থেকে নিয়োগ করা ৭৪ জনকে অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদের মধ্যে ২৮ জন বাংলাদেশি, যারা বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি করেন।