দীর্ঘদিন বন্ধের পর, ঈদে রাজশাহীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল ।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী নগরীর বিনোদন পার্ক বলতে রাজশাহী শহীদ এ এইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা ও শিশু পার্ক এবং পদ্মার নদীর ধাঁর বোঝায় । প্রায় পাঁচ মাস পর একটু স্বাভাবিক হয়েছে এই বিনোদন কেন্দ্র গুলো । তবে এখনো খোলা হয়নি শিশু পার্ক । তবে খুলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় উদ্যান চিড়িয়াখানা । দীর্ঘ সময় ধরে ঘর বন্দি ছিল নগরবাসী । ঈদের দিন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে চোখে পড়ার মত ভ্রুমন পিপাষুদের দেখা গেছে ।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদের দিন প্রায় ৭০০ শিশু ও তাদের অভিভাবক চিড়িয়াখানায় এসেছেন। ঈদের পর দিন এসেছে প্রায় দুই হাজার শিশু ও তাদের অভিভাবক। ঈদের তৃতীয় দিনও শিশুদের আনাগোনা ছিল বেশি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই চিড়িয়াখানায় বিনোদনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মাস্ক না পরলে কাউকেই চিড়িয়াখানার ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।

শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান উদ্যান ও চিড়িয়াখানার সুপারভাইজার শরিফুল ইসলাম বলেন, রাজশাহীর শিশু পার্ক এখনও বন্ধ। তাই তাদের এখানে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি হচ্ছে। সে জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি তারা খুব খেয়াল করছেন। প্রবেশের সময়ই সবাইকে জীবাণুনাশক টানেলের ভেতর দিয়ে আসতে হচ্ছে। আর সবাই যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন তার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

এদিকে ঈদের দিন থেকে রাজশাহীর বিস্তির্ণ পদ্মার পাড়েও নানা বয়সী মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। ঈদের দিন এবং দ্বিতীয় দিন বিনোদন পিপাসু মানুষের ভিড় ছিল বেশি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীর ধারে ভিড় জমাচ্ছেন বিনোদন পিপাসুরা। ভরা পদ্মায় এখন আছড়ে পড়ছে ঢেউ। পড়ন্ত বিকালে নদীতে হারিয়ে যাচ্ছে সূর্য। এমন অপার সৌন্দর্যের টানেই বিনোদন প্রেমিরা যাচ্ছেন পদ্মারপাড়ে।

রাজশাহী মহানগরীর পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় রয়েছে পদ্মার পাড়। ঈদের দিন থেকে এলাকাগুলো সব সময় মুখর থাকছে বিনোদন প্রেমীদের পদচারণায়। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষের ভালোলাগার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এলাকাগুলো। করোনার থাবা দূর করে পদ্মার পাড়ে এখন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসাও এখন জমজমাট। মাঝিদের নৌকাতেও মিলছে যাত্রী। নৌকাগুলো ভাসছে ভরা পদ্মায়। অনেকেই পদ্মাপাড়ের লালন শাহ মঞ্চের গ্যালারিতে বসে উপভোগ করছেন পদ্মার সৌন্দর্য্য।

জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, রাজশাহীতে মুক্ত বাতাসে একটু শ্বাস নেয়ার জন্য পদ্মাপাড়ের তুলনা নেই। লকডাউন শিথিল করার পর থেকেই পদ্মাপাড়ে বিনোদন পিপাসুদের আনাগোনা বেড়েছে। ঈদের পর সেটা আরেকটু বেড়েছে। আমরা বলছি, সামাজিক দূরত্বটা যেন বজায় থাকে। সেটা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতও মাঠে রয়েছে।

 

Next Post

জয়পুরহাটে ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক কারবারি আটক ।

সোম আগস্ট ৩ , ২০২০
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটে ১৪৮ বোতল ফেনসিডিলসহ শীর্ষ ২ মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‌্যাব। সোমবার (৩ আগস্ট) দুপুরে শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন নওগাঁর ধামইরহাটের রুপনারায়ণপুর এলাকার সুন্দর আলীর ছেলে বাবুল ওরফে কেরা ও একই এলাকার ইউনুসের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫)। জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links