দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থেকে মামলা-হামলায় জেরবার রাজশাহীর বিএনপির নেতাকর্মীরা।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থেকে মামলা-হামলায় জেরবার রাজশাহীর বিএনপির নেতাকর্মীরা। শীর্ষ নেতাদের সবাই নাশকতা, হত্যা, বিস্ফোরকসহ নানা মামলায় আসামি হয়ে আছেন। একেকজনের নামে ডজন ডজন মামলাও হয়ে আছে। এসব মামলায় কেউ এখনো কারাগারে, আবার কেউ জামিনে কোনো মতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এলাকায়। আবার কেউ এখনো পলাতক। মামলার ঘানি টানতে টানতে দিশেহারা এসব নেতাই এখন বিএনপির হাল ধরতে আসছেন। সদ্য ঘোষিত রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতেও যাদের নেতৃত্বে আনা হয়েছে, তাঁদের নামেও রয়েছে নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলা। এমনকি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক যাঁকে করা হয়েছে, সেই আবু সাইদ চাঁদের নামেও রয়েছে ২১টি মামলা। নানা কাণ্ডে বিতর্কিত নেতা আবু সাইদ চাঁদ ১৯৯৯ খালেদা জিয়াকে কালো পতাকা প্রদর্শনও করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আর মুক্তি পেয়েই জেলা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন। আবার দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেও রয়েছে ব্যাপক কোন্দল। কোন্দলেও জেরবার বিএনপির নেতাকর্মীরা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুধু রাজশাহীই নয়, এই অঞ্চলের চারটি জেলাতেও বিএনপির যারা নেতৃত্বে রয়েছেন, তাঁদের নামে রয়েছে নাশকতা, হত্যাসহ নানা ধরনের মামলা। আবার মামলা, হামলা ও নানা রকম বর্তমানে বিএনপির তুখোড় ও ব্যক্তি ইমেজধারী নেতারাও নেতৃত্ব থেকে সরে আসছেন। ফলে বিএনপির নতুন নেতৃত্বে জায়গা করে নিচ্ছেন বিতর্কিত থেকে শুরু করে হত্যা মামলার আসামিরাও। রাজশাহী, পাবনা, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারটি জেলাতেই প্রায় একই চিত্র ফুটে উঠেছে।

দলীয় সূত্র মতে, রাজশাহী বিএনপির এক সময়ের তুখোড় নেতা ছিলেন মিজানুর রহমান মিনু ও নাদিম মোস্তফা। ১৯৯৬ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলেও রাজশাহীর তৎকালীন ৫টি আসনেই বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে ৫টি আসনেই বিএনপির তৎকালীন ৫ তুখোড় নেতা এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওইসময় রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃত্বেও ছিলেন এই ৫ এমপিরাই। বিশেষ করে সাবেক মন্ত্রী ব্যারিষ্ট্রার আমিনুল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কবির হোসেন, তৎকালীন রাজশাহী-২ আসনের এমপি মিজানুর রহমান মিনু ও সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা ছিলেন রাজশাহীর রাজনীতির অন্যতম নাম। পরবর্তিতে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপির নেতৃত্বে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে থাকে। আর সেই পরিবর্তনের ধারায় এখন বিএনপির এই নেতা অনেকটায় ব্যাকফুটে। এরই মধ্যে ব্যারিষ্টার আমিনুল হক সম্প্রতি মারা যাওয়ায় রাজশাহীর ওই আসনটিতে বিএনপি প্রায় নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়েছেন বলে মনে করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

অন্য চারজনের মধ্যে কবির হোসেন বয়সের ভারে ন্যূব্জ। মিজানুর রহমান মিনুকে রাজশাহীর নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে কেন্দ্রে দায়িত্ব দেওয়ায় তিনিও ব্যাকফুটে। তার স্থলে ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি করা হয় সদ্য সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে। যাঁর নামেও রয়েছে হত্যা, নাশকতাসহ অন্তত ১০টি মামলা। এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনের নামেও একই পরিমাণ মামলা রয়েছে। কিন্তু গত আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি বুলবুল-মিলন। রাজশাহী নগর বিএনপিতে মিলন সাবেক এমপি ও মেয়র মিজানুর রহমান মিনু অনুসারী ও বুলবুল একাই একদিকে চলেন বলেন কথিত রয়েছে। এ নিয়ে নগর বিএনপিতে রয়েছে ব্যাপক কোন্দল।
এদিকে সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে হঠাৎ করে ফের সাবেক এমপি আবু হেনা রাজশাহী-৪ আসন থেকে মনোনয়ন পেলেও দলের নেতাকর্মীদেরই সংগঠিত করতে পারেননি তিনি। ফলে নির্বাচনের অন্তত ১৫ দিন আগ থেকে এলাকাতেও ঢুকতে পারেননি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলার ভয়ে।

একসময়ের আরেক তুখোড় নেতা সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফাকে জেলা বিএনপির সভাপতি থেকে সরানো হয় ২০১৬ সালের ডিসম্বেরে। তাঁর স্থলে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সদ্য সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপুকে। কিন্তু তিনিও দলের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে পারেননি। উপরুন্ত জেলার বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গঠন করতে গিয়ে ব্যাপক বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে এই নেতার বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় গত ৬ জুলাই জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে দিয়ে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই নেতাদের মধ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ অধিকাংশ জনের নামেই রয়েছে নাশকতা, হত্যাসহ একাধিক মামলা। এমনকি কারো কারো বিরুদ্ধে এক ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে। এছাড়াও কেউ কেউ রয়েছেন মাদক ব্যবসায়ী, হত্যা, নাশকতা মামলাসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। কমিটিতে যেসব নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাদের যোগ্যতা নিয়েও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

জানা গেছে, এই কমিটির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যাসহ ২১টি মামলা। কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার, সদস্য নজরুল ইসলাম মন্ডল, নুরুজ্জামান খান মানিক, সিরাজুল হক, শেখ মকবুল হোসেন, বিকুল হোসেন, সাইদুর রহমান মন্টু, এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান মন্টু, সাইদুর রহমান মন্টু, রোকনুজ্জামান আলম, মিজানুর রহমান, জাহান পান্না, আব্দুর রাজ্জাক, তাজমুল তান টুটুল, আব্দুস সামাদ, গোলাম মোস্তফা মামুন, সদর উদ্দিন, আশরাফুল ইসলাম, তোফায়েল হোসেন রাজু, আবু হেনা, ডি.এম জিয়া, আমিনুল হক সিদ্দিক মিন্টু ও সৈয়দ মহসীন আলীদের বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক মামলা।

তাঁদের মধ্যে সদর উদ্দিন গোদাগাড়ী এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী নামে পরিচিত। তিনি পুলিশের তালিকাভূক্ত মাদক মামলার আসামি। রাজশাহী অন্যতম হুন্ডি ব্যবসায়ীও তিনি। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সদর উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এসব অভিযোগ করা হয়েছে।

আর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ বলেন, ‘আমি রাজনীতি করা মানুষ। কিন্তু আমাকে রাজনীতি থেকে সরাতে সরকারের দলের একজন এমপির নির্দেশে আমার নামে একের পর এক মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে আমি কোনো ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।’

জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক নেতা সাজেদুর রহমান খান মার্কনি বলেন, ‘ নতুন কমিটি হয়েছে মন্দের ভালো। তবে যারা নেতৃত্বে এসেছেন, তারা যদি মাঠপর্যায় থেকে সঠিক নেতৃত্ব বেছে নিয়ে আসতে পারেন তাহলেই দলের জন্য মঙ্গল। কারণ বিএনপিতে সংগঠকের অভাব নাই। কিন্তু সেই সংগঠকদের বেছে বেছে দায়িত্ব দিতে হবে। নিজেদের পছন্দমতো দায়িত্ব দিলে কখনোই ঘুরে দাঁড়ানো যাবে না।’

অন্যদিকে জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, ‘দলের মধ্যে কিছুটা বিরোধ আছে। বিএনপি বড় দল হিসেবে এগুলো থাকবেই। তবে আমরা দ্রুত সেটি কাটিয়ে উঠবো। আর আমাদের নামে মামলা হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। এই মামলার কোনো ভিত্তি নাই। আমাদের সব নেতাকর্মীর নামেই কোনো না কোনো মামলা আছে। এখনো অনেকেই কারাগারে আছেন মিথ্যে মামলায়। আবার কেউ কেউ পলাতক দিন যাপন করছেন রাজনৈতিক কারণে। তবে তারা রাজনীতির সঙ্গেই আছেন।’

এদিকে আমাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ইমতিয়াজ ফেরদৌস সুইট জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে দুই সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ ও আমিনুল ইসলামের দ্বন্দ্ব অনেকটায় পুরোনো। দীর্ঘদিনের সেই দ্বন্দ্বে হ য ব র ল অবস্থা বিরাজ করছে জেলা বিএনপিতে। বছর দেড়েক আগে জেলা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন হারুনপন্থী ৬২ জন নেতা। পদত্যাগের একবছর পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি ওই ৬২ নেতার পদত্যাগপত্র গ্রহন করলেও শুন্যপদগুলো আর পুরণ হয়নি। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই কিছুটা ঐক্যর পথেই হাটছেন এই দুইনেতা। স্থানীয় অনেক অনুষ্ঠানেই এই দুই নেতাকে দেখা যাচ্ছে একসঙ্গে। এমনকি মাস দুয়েক আগে আমিনুল ইসলামকে যেতে দেখা গেছে হারুনুর রশিদ হারুনের চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাড়িতে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ১৭ মে কেন্দ্রীয় বিএনপি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলামকে সভাপতি ও আমিনুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন কমিটি অনুমোদন দিলে তাদের বিরোধ তুঙ্গে উঠে। আমিনুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় হারুনপন্থীরা। কমিটি ঘোষণার পর প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এই কমিটি বাতিলের দাবিও করে তারা। পরে জেলা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন হারুনপন্থী ৬২ জন নেতা। পদত্যাগী নেতাদের মধ্যে ছিলেন, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা শামসুল হক, নুরুল ইসলাম সেন্টু, আব্দুর রহমান বিশ্বাস, আসাদুলাহ আহমেদ, সহ-সভাপতি আব্দুল লতিব, তসিকুল ইসলাম, আতাউর রহমান, আবুল কালাম সামসুদ্দিন প্রমুখ।

৬২ জন নেতার পদত্যাগের কারণে গত দুবছরে একটি বারের মতও সভা করতে পারেনি জেলা বিএনপি। দুই নেতার বিরোধে অনেকটায় নিস্ক্রিয় রয়েছে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম। বিএনপির যেসব নেতা এখানে নেতৃত্বে দিচ্ছেন, তাঁদের প্রায় সকলের নামেই রয়েছে নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিএনপি নেতা বলেন, গত মে মাসে জেলা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখন নতুন করে পদ পেতে অনেকেই আগ্রহী হয়ে আছেন। কিন্তু গ্রুপিয়ে কার পক্ষের লোকজন নিজেদের অবস্থান পোক্ত করতে পারবেন এটাই দেখার বিষয় এখন।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মতি বলেন, ‘এবার মনে হচ্ছে দুই নেতার ঐক্য ও সমঝোতার ভিত্তিতেই জেলা বিএনপির কমিটি গঠন হবে।’

জেলা বিএনপির পদত্যাগী সহ-সভাপতি তসিকুল ইসলাম তসি বলেন, ৬২ জনের পদত্যাগ গ্রহণের পর জেলা কমিটি থাকার কথা নয়। অচিরেই ঐক্যর ভিত্তিতে নতুন জেলা কমিটি গঠন করা হবে বলে মনে করেন তিনি।
তবে বিএনপির যুগ্মমহাসচিব হারুনুর রশিদ এমপি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপিতে কোনো বিরোধ নেই। জেলা কমিটি গঠন নিয়ে যে সমস্যা ছিলো, তা দলের কেন্দ্রীয় কমান্ড নিরসন করবে।’

আমাদের নাটোর প্রতিনিধি রেজাউল করিম রেজা জানান, নাটোর জেলা কমিটি বাতিল করে গত ৬ জুলাই আলহাজ্ব আমিনুল হক আহ্বায়ক ও কাজী শাহ আলমকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও রহিম নেওয়াজকে সদস্য সচিব করে ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই কমিটির অধিকাংশ নেতার বিরুদ্ধেই রয়েছে নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলা। যাঁদের অনেকেই এখনো পলাতক রয়েছেন। আবার কেউ রয়েছেন কারাগারে।

পাবনা প্রতিনিধি আহমেদ উল হক রানা জানান, পাবনা জেলা বিএনপির কমিটিও ভেঙে দিয়ে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব আহ্বায়ক, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মান্নান মাস্টার যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিককে সদস্য সচিব করে ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। এই কমিটির অধিকাংশ সদস্যদের নামেও নাশকতাসহ বিভিন্ন ধরনের মামলা রয়েছে। যাদের কেউ কেউ এখনো পলাতক বা কারাজীবন অতিবাহিত করছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ বিতর্কিতও রয়েছেন।

এভি-১

Next Post

সিরাজগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘট চলমান আছে।

সোম জুলাই ১৫ , ২০১৯
আভা ডেস্কঃ ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকায় বাস চলাচল করতে না দিলে আগামী ১৮ জুলাই থেকে সিরাজগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে সিরাজগঞ্জ পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ বাস মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা এই ঘোষণা দেন। সংবাদ […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links