দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর বিরামপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ৪০ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী রাজ কুমার শীল মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম গত বৃহস্পতিবার রাজ কুমার শীল ও আনন্দ কুমার শীলকে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা পরিশোধ বই হস্তান্তর করেন।
রাজ কুমার শীল দীর্ঘদিন মেডিকেলের ছাত্র থাকাবস্থায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এর পর থেকে তিনি পরিবারের বোঝা হয়ে থাকেন এবং বিভিন্ন দোকানে স্বল্প মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য হন। এতে ঘোর অমানিশায় ধুঁকে ধুঁকে চলছিল তার সংসার।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পত্রিকায় তার মানবেতর জীবনযাপনের সংবাদ প্রকাশিত হয়। দিনাজপুরের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন ওই সব খবরের সূত্র ধরে শনিবার বিকালে রাজ কুমার শীলের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের খোঁজ-খবর নেন এবং রাজকুমারের পরিবারের জন্য ২০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করেন। তিনি রাজ কুমারের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে তাদের বাড়িতে একটি দোকান ঘর তৈরি করে দেন।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম বৃহস্পতিবার রাজ কুমার শীল ও আনন্দ কুমার শীলকে অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা পরিশোধ বই হস্তান্তর করেন। সেই সঙ্গে তার বাড়িতে থাকার উপযোগী পাকা ইটের ঘর তৈরি ও চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমানকে নির্দেশ দেন।
এ সময় বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান ও ওসি মনিরুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মশিহুর রহমান এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।