চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে তুচ্ছ ঘটনায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারপিটের ঘটনায় আহত আরমান আলী ওরফে আপন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে। এ মারপিটের ঘটনাটি গত ১৩ই ডিসেম্বর উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামে ঘটেছে। এ ঘটনায় চিরিরবন্দর থানায় আরমানের পিতা ফয়জার রহমান বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী করে গত ১৭ ডিসেম্বর একটি মারামারির মামলা দায়ের করলে আঞ্জুয়ারা বেগম ও ইয়াসমিন আরাসহ ৫ জন আদালত কতৃক জামিন প্রাপ্ত হন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন সকাল সাড়ে ১১টায় মো. ফয়জার রহমান চিরিরবন্দরস্থ এমএম ব্রিক্স থেকে ট্রাফে ট্রাক্টর যোগে নিজ বাড়িতে ইট আনার সময় রাস্তার সরু হওয়ার কারণে এন্তাজুল ইসলাম ওরফে নেদা (৫০)’র একটি ছোট কাঁঠালগাছে ট্রাক্টরটি ধাক্কা লাগে। এতে ওইগাছের ছাল উঠে যায়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজনের কথা কাটাকাটি হয় এবং আটককৃত ট্রাক্টরটি ছেড়ে দেয়ার জন্য বলে। এর এক পর্যায়ে এন্তাজুল ইসলাম ওরফে নেদা (৫০), মো. আনিছুর রহমান (২৭), আরিফুল ইসলাম ওরফে লালবাবু (৩২), আঞ্জুয়ারা বেগম (৪৭), মর্জিনা বেগম (২৫), ইয়াসমিনা (১৯), ফরিদা বেগম (২৪) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৫/৬জনের একটি সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠি, লোহার রড, ধারালো ছোরা, কুড়াল, রামদা, হাসুয়া দিয়ে বিপক্ষ ইমরান আলী ওরফে দুলাল (৪৫), আরমান আলী ওরফে আপন (৩৫), পুত্রবধূ শিল্পী আরা বেগম (২৮), নাতী মনিরুজ্জামান ওরফে মুন্না (২০) কে বেধড়ক মারপিট করে অচেতন ও রক্তাক্ত করে দেয় এবং শ্লীলতাহানী ঘটায়। এসময় স্থানীয় লোকজন আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মাইক্রোবাস যোগে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত ও আশঙ্কাজনক ইমরান আলী ওরফে দুলাল (৪৫), আরমান আলী ওরফে আপন (৩৫) এবং মনিরুজ্জামান ওরফে মুন্না (২০) কে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আরমান আলী ওরফে আপনের (৩৫) শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গত ২৫ শে ডিসেম্বর রাতের কোন এক সময় আপনের মৃত্যু ঘটে। পরেরদিন অর্থাৎ ২৬ শে ডিসেম্বর আপনের মৃত্যুর খবর এলাকায় আসলে স্থানীয় লোকজন বিপক্ষদলের দু’জন মহিলা আঞ্জুয়ারা বেগম ও ইয়াসমিন আরাকে আটক করে থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আটক ওই দু’মহিলাকে আদালত কতৃক জামিননামা থাকায় স্থানীয় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেনের জিম্মায় দেন। এ মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় ও পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।