আভা ডেস্কঃ ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে দ্রুততম শতরানের রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ দল। সেই সঙ্গে সিরিজটাও ঘরে তুলে একটা নতুন ইতিহাস গড়লো টাইগাররা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৪ ওভারে ২১০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে নেমে ৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ম্যাশরা। এ জয়ে বড় অবদান রাখেন সৌম্য, মোসাদ্দেক আর মুশফিক।
সৌম্য সরকার ৪১ বলে ৬৬, মোসাদ্দেক ২৪ বলে ৫২ রানের বিদ্ধংসি ইনিংস খেলে জয়টাকে সহজ করে দেন।
১০.৩ ওভারে সিঙ্গেল নেয়ার মধ্য দিয়ে দলীয় শত রান পূর্ণ করেন মুশফিকুর রহিম। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটা বাংলাদেশ দলের দ্রুততম শতরান করার রেকর্ড।
ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে বৃষ্টির বাগড়ায় পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৪ ওভারে সংগ্রহ করে ১৫২/১ রান। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ২৪ ওভারে রান।
এমন কঠিন সমীকরণ তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। উদ্বোধনী জুটিতে তারা ৫.৩ ওভারে ৫৯ রান যোগ করেন।
সঠিক মঞ্চে রুদ্ররূপে দেখা দিয়েছেন তরুণ ওপেনার সৌম্য সরকার। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ২৪ ওভারে ২১০ রানের।
এই কঠিন লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার। ব্যাক্তিগত ৪ রানে সহজ ক্যাচ দিয়ে অ্যাশলে নার্সের কল্যাণে বেঁচে যান তামিম।
এর আগে ডাবলিনের মালাহাইডের মেঘাচ্ছন্ন কন্ডিশন কাজে লাগাতে টস জিতে ফিল্ডিং নেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু বাস্তবে উল্টোটাই ঘটে। বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ২০.১ ওভার এই সুবিধা কাজে লাগেনি বাংলাদেশের। উল্টো উইন্ডিজ তুলেছে বিনা উইকেটে ১৩১ রান।
খেলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত শাই হোপ ৫৬ বলে ৬৮ এবং সুনিল অ্যামব্রিস ৬৫ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বৃষ্টিতে ম্যাচের অনেক সময় নষ্ট হওয়ার পর কর্তিত ওভারে খেলা শুরু হয়। দুই দলের জন্যই নির্ধারণ করা হয় ২৪ ওভারের ইনিংস। ২০.১ ওভার খেলা উইন্ডিজের ৩.৫ ওভার খেলা বাকী ছিল। দলীয় ১৪৪ রানে তারা প্রথম উইকেট হারায়। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মোসাদ্দেকের তালুবন্দি হন ৬৪ বলে ৬ চার ৩ ছক্কায় ৭৪ রন করা শাই হোপ। শেষ ওভারে ৮ রান নিলে উইন্ডিজের স্কোর দাঁড়ায় ২৪ ওভারে ১ উইকেটে ১৫২ রান।
যুগান্তর