আভা ডেস্কঃ ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে ইউরোপের টালমাটাল অবস্থার মধ্যেই গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। একটি পর্যবেক্ষণ মিশন চালানোর সময় তুরস্কের যুদ্ধবিমান লক্ষ্য করে গ্রিসের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার রাডার লক করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।
সাধারণত কোনো যুদ্ধবিমান লক্ষ্য করে প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার আগে রাডার লক করতে হয়।
গত ২৩ আগস্ট তুরস্কের বিমানবাহিনীর কয়েকটি এফ-সিক্সটিন যুদ্ধবিমান পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অপারেশন চালাতে এজিয়ান সাগরের ওপর দিয়ে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় থাকা অবস্থায় ক্রিট দ্বীপ থেকে রাশিয়ার নির্মিত একটি এস-৩০০ দ্বারা লকের শিকার হয়েছিল।
গ্রিক মিডিয়াগুলোতে তুরস্কের এই অপারেশনকে উসকানিমূলক বলা হচ্ছে, যার মূল উদ্দেশ্য ক্রিট দ্বীপে এস-৩০০-এর অবস্থান প্রকাশ করা।
গ্রিস ও তুরস্ক উভয়েই ন্যাটোভুক্ত দেশ। সেই হিসেবে তুরস্ক বলছে, ন্যাটোর নিয়মানুসারে এ ধরনের পদক্ষেপ শত্রুতামূলক কাজ হিসেবে বিবেচিত এবং এটি জোটের সঙ্গে বেমানান।
তবে ন্যাটোভুক্ত হলেও দ্বীপের মালিকানা, সমুদ্র অঞ্চল ও শরণার্থী নিয়ে বিরোধ রয়েছে দুই দেশের মধ্যে।
এর আগে বৃহস্পতিবারও একই অঞ্চলে গ্রিসের এফ-সিক্সটিন যুদ্ধবিমান তুরস্কের বিমান লক্ষ্য করে রাডার লক করে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, গ্রিস ক্রমাগত উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য ন্যাটো মিশনকে লক্ষ্যবস্তু করে চলেছে এবং সবশেষ ঘটনা প্রমাণ করে যে এথেন্স আগে থেকেই এমন কিছুর পরিকল্পনা করেছিল।