তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আটক বানিজ্যসহ ফিটিং মামলা দেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি: যখন সারাদেশ ব্যাপী পুলিশের সাবেক আইজিপিসহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে ঠিক সে সময়ে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে রাজশাহীর বাগমারার তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে চলছে আটক বানিজ্যসহ ফিটিং মামলা দেওয়ার মহাউৎসব।
তদন্ত কেন্দ্রের আইসি এস আই সোহাইল রানা এমন কান্ড করছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
গত ১৮ জুন দিবাগত রাত ১৯ জুন রাত ১২:১৫ ঘটিকায় নিষিদ্ধ মাদক গাঁজার গাছ উদ্ধার পূর্বক আজাদ আলী প্রমানিক নামে এক ব্যক্তিকে মামলা দেওয়া হয়। আজাদ আলী তাহেরপুর পৌরসভার বিষুপাড়া গ্রামের মৃত অফির উদ্দিনের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়, গাঁজার গাছ উদ্ধার হয় অন্য জায়গায় আর মামলা দেওয়া হয় আজাদ আলীর বিরুদ্ধে। এর আগে আজাদ আলীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিলো না। এলাকাবাসীর কেউ জানে না তিনি মাদক সেবন বা বিক্রি করেন। ভ্যানচালক আজাদ নিজে ভ্যান চালিয়ে তাঁর সংসার পরিচালনা করেন। ওই মামলার দুই স্বাক্ষী জানায়, আমরা জানি না গাছ কোথায় থেকে পুলিশ নিয়ে এসেছে। সেটা আদৌও গাঁজার গাছ কি না তা নিশ্চিত না। বাড়ি থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে এসে তাঁদের একটি ১০০ গ্রাম ওজনের খুবই ছোট্ট একটি গাছ দেখায় পুলিশ। পরে জানতে পারি আজাদ আলীকে দুটি গাছ (যার ওজন ১ কেজি ৬০০ গ্রাম) দিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা জানিয়ে এলাকাবাসী বলেন, তাহেরপুর পৌরসভার জগন্নাথপুরে হাবিবুরের পানের বরজ থেকে একটি বড় গাঁজার গাছ উদ্ধার করেন এস আই সোহাইল রানা ও তাঁর টিম। যদিও এস আই সোহাইল রানা ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাস্থলেই হাবিবুরকে ছেড়ে দেন। ওই গাছ দিয়ে মামলা দেওয়া হয় ভ্যান চালক আজাদ আলীকে। কারণ আজাদ আলীর নিকট এস আই সোহাইল রানা ১০ হাজার টাকা চেয়েছিলো তা তিনি দিতে পারেননি।
অপর আরেক ঘটনায় গত ২৬-৪-২৪ ইং তারিখে হওয়া বাগমারা থানার তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের মাদক মামলায় দুজনকে সহযোগী আসামী করা হয়। (বাগমারা থানার মামলা নং ৪৬/২০২৪) তাঁরা ওই ঘটনার সাথে কোনোভাবেই জড়িত নয়। সহযোগী দুই আসামী হলেন, বাগমারা উপজেলার কামারবাড়ি এলাকার মৃত জব্বার প্রামানিকের ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৩) ও বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের গাঙ্গোপাড়া এলাকার বিরাজ প্রামানিকের ছেলে শারুক (২৪)। সহযোগী মামলার আসামীরা জানায় আমাদেরকে ওই ঘটনাস্থলের অনেক দূর থেকে ধরে নিয়ে আসেন। এছাড়াও ওই মামলায় আসামী করা হবে মর্মে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন এস আই সোহাইল রানা। ৪০ হাজার টাকা দিলেও তাদেরকে ওই মাদক মামলার সহযোগী আসামী করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই সোহাইল রানা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এখানে আটক বানিজ্য বা ফিটিং মামলা দেওয়া হয়নি।
কথা বললে বাগমারা থানার (ওসি) অফিসার ইনচার্জ অরবৃন্দ সরকার বলেন, আটক বা ফিটিং মামলার কোনো সুযোগ নাই। তবে কেউ যদি এমন অভিযোগ করেন তাহলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Next Post

চারঘাটে ফেন্সিডিলসহ ডিবি'র হাতে বাবা-ছেলে আটক,টাকার বিনিময়ে ছাড়া পেলো ছেলে

সোম জুলাই ১ , ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা চারঘাট পৌরসভার মোক্তারপুর পাইকানপাড়া গ্রামে ১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ রাজশাহী জেলা ডিবির হাতে গ্রেফতার হন মাদক ব্যবসায়ী আলমগীর (৪০) ও তার ছেলে রুদ্র (১৬)। কিন্তু বয়সের ব্যবধানের কারনে আন্ডারএইজ হওয়ায় রুদ্র (১৬)’কে নগদ ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাস্থল থেকেই ছেড়ে দেন ডিবির এসআই দাউদ-উজ জামান […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links