তানোর প্রতিনিধিঃ এবার ট্রাকে করে নিয়ে আসা হলো আলুর খেতে পড়ে যাওয়া প্রশিক্ষণ বিমানটি। তানোরের লালপুর থেকে বিমানটি উদ্ধার করে রাজশাহীর নওহাটা বিমান বন্দরে নিয়ে আসা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন- তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান।
তিনি বলেন, বুধবার রাত আটটার দিকে বিমানটি উদ্ধার করে ট্রাকে তুলে নিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। এর আগে তদন্ত কমিটি পর্যবেক্ষণ করেন। তারা জানার চেষ্টা করেন বিস্তারিত।
উইং কমান্ডার এস এম আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমরা এখন কিছুই বলব না।’ তিনি একজন মানুষের চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার উদাহরণ টেনে বলেন, চিকিৎসক নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেন। তারপরে একটা সিদ্ধান্তে আসেন। চিকিৎসকেরা মানুষ দেখেন আর তাঁরা দেখেন এয়ারক্র্যাফট। এই পার্থক্য।
রাজশাহীতে পরপর তিনটি দুর্ঘটনার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, একটি দুর্ঘটনার পর পর্যবেক্ষণ করে তার কারণ নির্ণয় করা হয়। এর ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে তার প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। প্রতিটি দুর্ঘটনার সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। এখানকার প্রতিটি দুর্ঘটনার কারণ পৃথক পৃথক। এমন যদি হতো প্রত্যেকটি দুর্ঘটনা একই কারণে ঘটেছে, তাহলে একটা ঢালাও মতামত দেওয়া যেত।
তিনি বলেন, বিমানের পাইলট ও প্রশিক্ষণার্থীর সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। অবতরণের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন। এই বিষয় নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। এক মাসের মধ্যে তাঁদের ওয়েবসাইটে তাঁরা প্রতিবেদন দেবেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) তানোরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এসটু-এজিজি মডেলের এই বিমানটি বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাবের। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমানটির সম্পূর্ণ উল্টো হয়ে আলুখেতে পড়ে। এর আগে রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহ.) বিমানবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাব প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালায়। দুপুরে শাহ মখদুম বিমানবন্দর থেকে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে বিমানটি আকাশে ওড়ে। তানোরে গিয়ে সেটি আলুখেতে আছড়ে পড়ে।
ওই বিমানে বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাবের রাজশাহীর প্রশিক্ষক ক্যাপ্টেন মাহফুজ আহম্মেদ ও প্রশিক্ষণার্থী ক্যাডেট নাহিদ হাসান নয়ন ছিলেন। দুর্ঘটনায় পড়লেও তারা দু’জনই সুস্থ আছেন। তবে ঠিক কী কারণে এবং কেন এই দুর্ঘটনা ঘটেছে সেসব বিষয়ে এখনও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।