তরুণরা সচেতন হলেই পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জন করা সম্ভব-কৃষিমন্ত্রী।

আভা ডেস্কঃ কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পুষ্টি বিষয়ে  তরুণরা সচেতন হলেই পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জন করা সম্ভব হবে। দেশের জনসংখ্যার একটা বিরাট অংশ তরুণ। এই তরুণ জনগোষ্ঠীর শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। পুষ্টি বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি, পুষ্টিসম্মত জীবনযাপন অনুশীলন ও কর্মসূচিতে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে পারলে পুষ্টিসমৃদ্ধ জাতি গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

শনিবার (২৬ ডিসেম্বর)  রাজধানীতে নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড ২০২০’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

বিড ফাউন্ডেশন, গেইন আইসিটি বিভাগ, নিউট্রিশন ক্লাব যৌথভাবে করোনা মহামারির কারণে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এবারের অলিম্পিয়াড আয়োজন করে। ‘তরুণদের নেতৃত্বে পুষ্টিসমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ এই থিম নিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড ২০২০’। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই অলিম্পিয়াড। প্রতিবারের মতো এবারো নিউট্রিশন অলিম্পিয়াডে পুষ্টি বিষয়ক বিভিন্ন মজার মজার প্রতিযোগিতা ও কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, সচেতনতার পাশাপাশি স্বল্প বা কম আয়ের মানুষের আয়ের পথও বাড়াতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে টাকার অভাবে স্বল্প আয়ের বা প্রান্তিক গরীব মানুষেরা পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার কিনতে পারে না। সেজন্য তাদের আয়ের পথকে প্রশস্ত করতে হবে এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির কর্মসূচিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের জন্য পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য বিভিন্ন সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পুষ্টি খাতকে বিশেষ প্রাধান্য দিয়ে ‘খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নীতি ২০২০’ এবং ‘জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২০২৫’ সহ বিভিন্ন সেক্টরাল পলিসির আওতায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার পুষ্টি সংবেদনশীল কৃষিনীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগমের সভাপতিত্বে কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনওয়া প্রিফন্তেইন, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাজমা শাহীন, আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরশাদ আলী, অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, বিড ফাউন্ডেশনের সিইও শহীদ উদ্দিন আকবর, গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর রুদাবা খন্দকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমএ সাত্তার মন্ডল।

উল্লেখ্য, কিশোর-কিশোরী এবং তরুণদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পুষ্টিসমৃদ্ধ সমাজ গঠনে সম্মিলিত উদ্যোগের বার্ষিক জাতীয় অনুষ্ঠান হলো ‘নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড’। বাংলাদেশে নিউট্রিশন ক্লাবের পথচলা শুরু ২০১৫ সালে বিডের   হাত ধরে। প্রথমে ইউনিভার্সিটি লেভেল থেকে শুরু করা হলেও বর্তমানে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি স্কুল, কলেজ এবং ইউনিভার্সিটিতে সক্রিয় নিউট্রিশন ক্লাব রয়েছে যার মাধ্যমে স্বল্প পরিসরে হলেও নিউট্রিশন নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

Next Post

বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ৪০ বছর আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতো।

শনি ডিসে. ২৬ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ৪০ বছর আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতো বলে মন্তব‌্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সোশ‌্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘বিজয়ের ৪৯ বছরে পাকিস্তানের চেয়েও সমৃদ্ধি, ঐতিহ্য ও […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links