অনেকেই হয়তো জানেন না, তৌসিফ পেশায় একজন প্রকৌশলী ছিলেন, আবার গানও গাইতেন। তবে ক্যামেরার সামনে আসতে বেশ ভয়ই লাগত, ক্যামেরা সামনে দেখলেই এলোমেলো হয়ে যেত। তাই অভিনয় করার ইচ্ছা বা পরিকল্পনা কোনোটাই ছিল না তাঁর। তাহলে কীভাবে এলেন অভিনয়ে?
মডেল ও অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়ার সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব ছিল। স্পর্শিয়া তখন বেশ পরিচিত মুখ নাটকে। স্পর্শিয়াই আপন আপন খেলা নামের একটা নাটকে বখাটে ছেলের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য যোগাযোগ করেন। তারপর পরিচালকের সামনে যখন প্রথমবার অডিশন দিলেন, তখন অদ্ভুতভাবে তাঁর সব ভয় কেটে গিয়েছিল। তৌসিফ বললেন, ‘আমি নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম এটা ভেবে যে, এত স্বাভাবিক অভিনয় আমি কীভাবে করলাম!’ তারপর নিজেকে দেখার পর অনুভূতি কেমন ছিল? তৌসিফ বেশ আফসোস নিয়েই বললেন, ‘নাটকটা রাত আটটায় প্রচারিত হতো, সেই পর্বটা যেদিন প্রচারিত হলো, সেদিন বাসার বাইরে থাকায় দেখতে পারিনি। আজ পর্যন্ত এটা না দেখার আফসোস থেকে গিয়েছে। তবে মা দেখেছিলেন। তিনি কী যে খুশি হয়েছিলেন তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’ সেদিন নাটকটা দেখে তৌসিফের মা নাকি প্রশংসা করে বলেছিলেন, ‘বেশ ভালো অভিনয় করেছিস।’ তারপর মায়ের অনুপ্রেরণায় একের পর এক কাজ করে তৌসিফ মাহবুব আজ এই পর্যায়ে এসেছেন। বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিওসহ অনেক নাটক এখন তৌসিফের ঝুলিতে। তবে অলটাইম দৌড়ের ওপর নাটক দিয়েই সবার হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন তৌসিফ মাহবুব।
প্রথমআলো