ডি আই জি মিজান ও দুদক পরিচালক বাছিরের জামিন নাকচ করেছে আদালত ।

আভা ডেস্কঃ ঘুষ লেনদেনের মামলায় পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি (সাময়িক বরখাস্ত) মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক (সাময়িক বরখাস্ত) এনামুল বাছিরের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।

ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ রোববার শুনানি শেষে আসামিদের জামিন নাকচ করেন। একই সঙ্গে এদিন দুদক মামলার প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ৯ ফেব্রুয়ারি মামলার প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান রেখে আরেক নারীকে জোরপূর্বক বিয়ে ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।

এছাড়া এক নারী সংবাদপাঠিকাকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ আসে তার বিরুদ্ধে। এরপর তাকে ডিএমপি থেকে সরিয়ে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়। চার মাস পর তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। কমিশনের উপপরিচালক ফরিদউদ্দিন পাটোয়ারীর হাত ঘুরে ওই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান খন্দকার এনামুল বাছির।

এক পর্যায়ের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে অডিও রেকর্ড দিয়ে ডিআইজি মিজান দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছিরকে ঘুষ দিয়েছেন দাবি করেন। গত বছরের ১৭ জুলাই ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করা হয়।

অবৈধ সম্পদের মামলায় ডিআইজি মিজান ও তার ভাগ্নের জামিন নাকচ : এদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার মামলায় পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি (সাময়িক বরখাস্ত) মিজানুর রহমান ও তার ভাগ্নে এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) মাহমুদুল হাসানের জামিন আবেদন নাকচ করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ রোববার শুনানি শেষে আসামিদের জামিন নাকচের আদেশ দেন। একই সঙ্গে দুদক এদিন মামলার প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আদালত ৯ ফেরুয়ারি মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

অনুসন্ধান শেষে গত বছরের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) কমিশনের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ডিআইজি মিজান ছাড়াও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়।

এ মামলায় গত বছরের ২ জুলাই ডিআইজি মিজান ও ৪ জুলাই তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর কয়েক দফায় তাদের জামিন নাকচ করেন আদালত। বর্তমানে দুই আসামিই কারাগারে রয়েছেন। বাকিরা পলাতক।

যুগান্তর

Next Post

রাজশাহীতে বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো ক্লেমন টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-২০১৯-২০২০ ।

রবি জানু. ৫ , ২০২০
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো ক্লেমন টি–২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট–২০১৯–২০ এর। আজ রোববার টুর্নামেন্ট এ ফাইনাল খেলায় অংশ নেয় মায়ের দোয়া স্পোর্টিং বনাম শামস রিয়েল স্টার। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলায় মায়ের দোয়া টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেয়। শামস রিয়েল স্টার ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৪১ […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links