রাবি প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল আল মামুন বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল যোগাযোগের চর্চা শুরু হয়েছে যাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু ডিজিটাল যুগের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক তৎপরতা থাকলেও পুরাতন যুগের ধারার মতো করে বর্তমান ডিজিটাল যুগে আইনগুলোকে চর্চা করলেও সেগুলো রাষ্ট্র ও মানুষের জন্য মঙ্গল হবে না। চিন্তা ও মুক্ত লেখা চর্চার জন্য ডিজিটাল আইন অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। এই আইনের মাধ্যমে হচ্ছে যে, আপনাকে জামিন অযোগ্য ধারায় বিচারের আগেই বিচারের বন্দবস্ত হয়ে যাচ্ছে। শাস্তির বন্দবস্ত হয়ে যাচ্ছে। মাসের পর মাস বছরের পর বছর। বিভিন্ন গোষ্ঠী এই আইনের অপব্যবহার করতে পারে। অপব্যবহার করার পর্যাপ্ত সুযোগ আছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার সাথে সাংঘর্ষিক ধারা সমূহ বাতিলের দাবিতে সাংবাদিকতা বিভাগের ব্যানারে বুধবার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে বিভাগের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক আল মামুন বলেন, সরকার যদি দূরদর্শী হয় তাহলে তারা যেটা করতে পারত যে তারা কিন্তু সবসময় সরকারে নাও থাকতে পারে। ভবিষ্যতে এই আইন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি বিধানের জন্য ব্যবহার হতে পারে। বর্তমানে অপব্যবহার হচ্ছে ভবিষ্যতে আরও অপব্যবহার হতে পারে। এবং সাংবাদিকতা চর্চার ক্ষেত্রে, চিন্তার ক্ষেত্রে এটা একটা বড় রকমের বাধা বলে আমরা মনে করি। আমরা মনে করি এই আইনের কিছু ধারা অবশ্যই পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এসময় অন্য যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকতা চর্চা করা হয় তাদেরও এই আইনের ওইসব ধারা নিয়ে আলোচনা করা, প্রতিবাদ করার দাবি জানান।
বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মামুন আব্দুল কাইয়ুমের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে, মশিহুর রহমান, সহকারি অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার রানা, মাহাবুর রহমান অনিন্দ্য, সহকারি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ বাকীসহ বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।