টেন্ডারে অনিয়ম: সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েও কাজ পেল না প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সর্বনিম্ন দরদাতাকে রেখে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীরা বলছেন, গোপন সম্পর্ক থাকায় অবৈধভাবে খামারের উপ-পরিচালক আতিকুর রহমান সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেছেন। তার এমন কর্মকাণ্ডে সরকার প্রায় ৬৫ লাখ টাকার রাজস্ব হারাতে চলেছে।

জানা গেছে, বিভিন্ন পশুখাদ্য ক্রয়ে গত ২২ এপ্রিল দরপত্র আহ্বান করে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ীহাটের দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামার কর্তপক্ষ। তবে দরপত্র আহ্বানের নির্ধারিত সময় ও নিয়ম মেনে টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সর্বনিম্ন দর দিয়ে প্রথম হয়েছে তাদেরকে কাজ না দিয়ে দ্বিতীয় দরদাতা ও ৬ষ্ঠ দরদাতাকে কাজ দেওয়া হয়েছে।

ওই টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস রজব অ্যান্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী রজব আলী জানান, বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পশু খাদ্য সরবরাহের জন্য টেন্ডারে অংশগ্রহণ করি। ৬৮২৯৯৮ টেন্ডার নম্বরে গমের ভূষি সরবরাহের জন্য দরপত্রে অংশগ্রহণ করে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে প্রথম স্থান অধিকার করি। তাদের কাগজপত্রেও আমাদের সিরিয়াল প্রথম রাখা হয়। তবে আমার প্রতিষ্ঠানকে কাজ না দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স করিম ট্রেডার্সকে কাজটি পাইয়ে দেওয়া হয়।

রজব আলী ও তার প্রতিনিধি জাকির হোসেন টুটুল আরও অভিযোগ করেন, ৬৮৩১১০ নম্বর টেন্ডার নম্বরে সয়াবিন খাবার, ভূট্ট্রার ভিটামিন প্রিমিক্স, রকসল্ট ও চুনা পাথর সরবরাহের আহ্বান করা হয়। এতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আব্দুস সাফি সালেক প্রথম হলেও তাকে কাজটি না দিয়ে এখানেও ৬ নম্বর দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স করিম ট্রেডার্সকে কাজ পাইয়ে দিতে খামারের উপ-পরিচালক সহযোগিতা করছেন।

৬৮৩০৯৭ নম্বর টেন্ডারে ধানের খড়, ডালের তুষ, ছোলা সংগ্রহ, ডাই-ক্যালসিয়াম ফসফেট ও লোডিন সল্ট সরবরাহের আহ্বান করলে সেই টেন্ডারেও মেসার্স আব্দুল সাফি সালেক প্রথম দরদাতা হিসেবে থাকলেও ৬ নম্বর দরদাতা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স করিম ট্রেডার্সকে খাদ্য সরবরাহের জন্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারের উপ-পারিচালক আতিকুর রহমান বলেন, তাদের অভিযোগ সঠিক নয়। কাজ কে পাবে এমন সিদ্ধান্ত হয়তো নেওয়া হতে পারে, কিন্তু টেন্ডার এখনো পুরোপুরি পাশ হয়নি। তারা কেন অভিযোগ করেছেন জানা নেই। ই-জিপি টেন্ডারে অসাধু অবলম্বনের কোন সুযোগ নাই। সর্বনিন্ম দরতাদা হলেই যে কাজ পাবে বিষয়টি এমন নয়। যারা কাজটি পাইনি তারা টেন্ডারের নিয়ম অনুযায়ী সকল কাগজপত্র দাখিল করতে পারেনি।

একই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তিনটি কাজই কিভাবে পেলো? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হয়তো কাকতালীয়ভাবে তিনি পেয়ে গেছেন। তার কাগজ পত্র সঠিক আছে অন্যদের নাই তাই হয়তো তিনিই পেয়েছেন।

এ নিয়ে বাংলাদেশ প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর কৃষি খামার বাড়ী পরিচালক (উৎপাদন) ড. রেয়াজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা আছে । এটি নিয়ে কাজ চলছে।

Next Post

নন্দীগ্রামে মুরাদপুর বান্দির পুকুর দাখিল মাদ্রাসার উদ্যোগে নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে সংবর্ধনা প্রদান

বৃহস্পতি জুন ৩০ , ২০২২
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্যকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। ৩০ শে জুন (বৃহস্পতিবার ) বেলা ১২টায় মুরাদপুর বান্দির পুকুর দাখিল মাদ্রাসার উদ্যোগে নন্দীগ্রাম উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া ও ২নং ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য মোঃ জোবায়েদ আহম্মেদকে সংবর্ধনা ও […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links