আভা ডেস্কঃ গত দুই বছরে পশ্চিমবঙ্গে ভোজ্যতেলের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। তেলের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে দেয়া লকডাউন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গত ২৮ এপ্রিল থেকে ইন্দোনেশিয়া সরকারের পাম তেল রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, জুনের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম অনেকটা কমে যাবে। গত সপ্তাহে তেলের দাম কমেছে ৮ টাকা।
সম্প্রতি আদানি উইলমার সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা অংশু মালিক সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, ‘জুন মাস থেকে তেলের দাম কমতে পারে। ১৫ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমতে পারে। ১০ মে-র মধ্যে পাম তেল রপ্তানি শুরু করে দেবে ইন্দোনেশিয়া। তারপরই তেলের দাম কমতে শুরু করবে। যেভাবে বেড়েছে, সেভাবে কমবে।’
যেহেতু সরিষার তেলের দাম সব সময় বেশি থাকে, সেজন্য সাধারণ মানুষ সয়াবিন তেল, পাম তেল বেশি ব্যবহার করে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া সরকার নিজের দেশের চাহিদা না মিটিয়ে তেল রপ্তানি করবে না। কারণ বিদেশে রপ্তানির কারণে সে দেশের পাম তেলের দাম অনেক বেড়েছে বলে জানা গেছে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জন্য সানফ্লাওয়ার এবং ইন্দোনেশিয়ার পাম তেল আমদানি বন্ধ হওয়ায় ভারতে ভোজ্যতেলের দাম হু হু করে বেড়েছে।
বড়বাজার ঘি-পট্টিতে ইস্টার্ন ইন্ডিয়া ফরচুন এডিবল অয়েলের সবচেয়ে বড় পাইকারি ডিলার জগদীশ প্রসাদ কেডিয়া বলেন, ‘দু তিন দিন হলো তেলের দাম কিছুটা কমে গিয়েছে। ফরচুন সয়াবিন তেলের এক লিটারের দাম ১৭৮ টাকা। বেস্ট চয়েস সয়াবিন তেল ১৬২ টাকা। ৫-৬ দিন আগে ১৬৮- ১৭০ টাকা দাম হয়ে গিয়েছিল সয়াবিন তেলের। শনিবার, ফরচুন পাম তেলের দাম কমে ১৫৯ টাকা হয়েছে । বেস্ট চয়েস পাম তেল ১৫৫ থেকে ১৫৬ টাকা। ফরচুন সানফ্লাওয়ার ১৯৮ টাকা। এ তো গেল পাইকারি বাজারে ভোজ্যতেলের দাম।’
ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধিতে তেলের বিক্রি কমেছে কী না সে প্রশ্নের উত্তর জগদীশ প্রসাদ কেডিয়া বলেন, ‘তেলের বিক্রি কমেনি। যে সানফ্লাওয়ার খেত সে সয়াবিন তেল খাচ্ছে। আর যে সয়াবিন খেত সে পাম তেল খাচ্ছে।’
‘খুচরা বাজারে এইসব তেলের দাম নির্ভর করে কতদূর গিয়ে মালটা বিক্রি হচ্ছে তার ওপর। তার পরিবহন খরচের ওপর দাম নির্ভর করে। পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারের দূরত্বের জন্য ভোজ্য তেলের দাম হেরফের করে। তবে এখন প্যাকেটজাত ভোজ্যতেলে ন্যায্য দাম লেখা থাকে। ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত নেয়ার সুযোগ থাকে না,’ যোগ করেন কেডিয়া।
বড়বাজার মেছুয়া পট্টির অন্নপূর্ণা ভাণ্ডারের শংকর রাম বলেন, ‘করোনার আগে সয়াবিন তেল ১০০ টাকার কাছাকাছি আর পাম তেলের দাম ছিল লিটারপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। জাস্ট ডাবল হয়ে গেছে এই দু বছরে।’
কলকাতার সূর্যসেন স্ট্রিটের এক খুচরা ব্যবসায়ী জানালেন, আজ সয়াবিন তেল ১৮৫ টাকা প্রতি লিটার।
দেশে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবহন খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছে। ফলে পাইকারি বাজার থেকে ভোজ্যতেল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার খুচরা বাজারে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। সানফ্লাওয়ার লিটার প্রতি ফরচুন ও ইমামি হেলদি ২১০ টাকায়। সয়াবিন তেল ফরচুন ১৮৫ টাকায়। বেস্ট চয়েস ১৭৫ টাকায় আর ডক্টর চয়েস ১৭০ টাকা প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে। সরিষার তেল ফরচুন ১৮৫ টাকা। বেস্ট চয়েস ১৭০ টাকা প্রতি লিটার দামে বিক্রি হচ্ছে।
রবি মে ৮ , ২০২২
আভা ডেস্কঃ রোববার রাতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বি আতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। এ ম্যাচ দিয়ে লিভারপুলের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের প্রস্তুতিটাও সেরে নিতে চায় চ্যাম্পিয়নরা। তবে আতলেতিকোর মাঠ ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে স্বাগতিক দল থেকে গার্ড অফ অনার পাচ্ছে না রিয়াল। গত রাউন্ডে কার্লো আনচেলত্তির দল […]
এই রকম আরও খবর
-
১১ জুন, ২০২১, ৩:৪৭ অপরাহ্ন
-
২৫ মে, ২০২০, ৯:২৭ অপরাহ্ন
-
১৬ জুলাই, ২০২১, ১০:০৬ অপরাহ্ন
-
২০ জুলাই, ২০২০, ১০:১৭ অপরাহ্ন
-
২৯ জুলাই, ২০২০, ৭:৪৫ অপরাহ্ন
-
২২ নভেম্বর, ২০২১, ৯:১২ অপরাহ্ন