জার্নালিজমের ছাত্রী ছিলাম। অভিনয় না করলে সাংবাদিক হতাম।

আভা ডেস্ক : স্টার জলসার অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘ভজ গোবিন্দ’। সিরিয়ালটির নায়িকা ‘ডালি’। এই চরিত্রে অভিনয় করছেন স্বস্তিকা দত্ত। এরই মধ্যে বাড়ির সব বয়সী দর্শকদের পছন্দের একজন হতে পেরেছেন। সম্প্রতি ব্যক্তিগত কিছু প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। জানিয়েছেন, জীবনে প্রথম প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছিলেন স্কুলে পড়ার সময়। বললেন, ‘তখন আমি ক্লাস সেভেনের ছাত্রী। বাসায় যে শিক্ষক আমাকে পড়াতে আসতেন, তিনি প্রথম প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।’

স্বস্তিকা দত্তর অভিনয়ের শুরুটা হয়েছিল বড় পর্দায়। প্রথম ছবি রাজ চক্রবর্তীর ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে’ (২০১৫)। শুরুতেই সুপারহিট। পরের বছর আরও দুটি ছবিতে অভিনয় করেছেন, ‘অভিমান’ ও ‘হরিপদ ব্যান্ডওয়ালা’। এই দুটি ছবিও ব্যবসাসফল হয়েছে। কিন্তু বড় পর্দায় নিজের ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন বাদ দিয়ে স্টার জলসার সিরিয়ালের প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেলেন। বললেন, ‘মানুষ আমাকে আজ যতটুকু চেনেন, সেটা কিন্তু “ডালি”র জন্য। শপিং মলে বা কোথাও গেলে সবাই এখন সেলফি তুলতে চান। তাঁদের জিজ্ঞেস করি, আমার সঙ্গে কেন ছবি তুলছেন? তখন তাঁরা বলেন, “তুমি তো আমাদের ডালি, তোমাকে আমরা প্রতিদিন দেখি।”’

স্বস্তিকা দত্তস্টার জলসায় ‘ভজ গোবিন্দ’র প্রচার শুরু হয়েছে বছর দেড়েক হলো। এখন নিশ্চিত বলা যায়, ছোট পর্দায় কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সেদিন স্বস্তিকা দত্ত মোটেও ভুল করেননি। এরই মধ্যে ভারতে বাংলা টিভি চ্যানেলের ‘তারকা নায়িকা’দের সারিতে ঢুকে পড়েছেন তিনি।

মধ্যবিত্ত পরিবারের আর দশটা সাধারণ মেয়ের মতোই স্বস্তিকা দত্ত। বললেন, ‘পার্টি করতে ভালো লাগে না। আমি হয় বাড়িতে থাকি, তা না হলে হাতে গোনা কয়েকজন বন্ধু আছে, তাদের সঙ্গে সময় কাটাই। আর একেবারে কাজ না থাকলে বেশির ভাগ সময় পরিবারের সঙ্গেই থাকি।’

ছোট পর্দায় এসেই পেয়েছেন ‘স্টার জলসা পরিবার অ্যাওয়ার্ডস’-এ স্টাইল আইকন পুরস্কার। সেই পুরস্কারের কৃতিত্ব তিনি দিতে চান ‘ভজ গোবিন্দ’র প্রযোজক স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে। বললেন, ‘আমি দাদাকে যতটা শ্রদ্ধা করি, ততটা ভয়ও পাই। তিনি সামনে এলে যেন সব গুলিয়ে যায়। খুব বকুনি খাই। তবে সেটা আমার কাছে আশীর্বাদ। আমাকে ইন্ডাস্ট্রিতে এনেছেন রাজ চক্রবর্তী আর স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তাঁরা শিখিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিতে কীভাবে টিকে থাকতে হয়।’

‘ভজ গোবিন্দ’ সিরিয়ালের গোবিন্দ ও ডালিনিজের কাজ নিয়ে বললেন, ‘মডেলিং করতাম৷ কলকাতার একটা বড় ব্র্যান্ডের হয়ে কাজ করার সময় ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম। জার্নালিজমের ছাত্রী ছিলাম। অভিনয় না করলে সাংবাদিক হতাম। অভিনয়ের জন্য ওই পেশায় যাইনি।’

জানালেন, প্রথম যখন প্রেমের চিঠি লিখেছেন, তখন ক্লাস এইটে পড়েন। একই ক্লাসের আরেকটা ছেলের সঙ্গে কঠিন রিলেশন ছিল। বললেন, ‘ক্লাসে বসেই খাতার পাতা ছিঁড়ে চিরকুট লিখে ওকে দিতাম।’ তবে সেসব এখন আর মনে করতে চান না স্বস্তিকা দত্ত।
প্রথমআলো

Next Post

দেশব্যাপী ১৫ হাজারের কিছু বেশি নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে।

মঙ্গল সেপ্টে. ১১ , ২০১৮
Ava Desk : ঢাকার বনশ্রী এলাকার লায়লা রিংকি সম্প্রতি অসুখে তাঁর মাকে হারিয়েছেন। সে সময় শোকে কাতর এই তরুণীর টিকে থাকার সঙ্গী হয়েছিলেন তারই এলাকার কয়েকজন বড় আপু। যাদের কাছে নিজের কষ্টের কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন লায়লা। তিনি বলছিলেন, “আমি চাইলে আমার ভাইবোনের কাছেও যেতে পারতাম। কিন্তু ওরাও তো ওদের […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links