এক মিনিটে ধুমধাম ছিনতাই সারল তিন/চার জনের ছিনতাইকারী গ্রুপ। পদ্ধতিটিও ছিল বেশ নিখুঁত। ছিনতাই করার পর আবার নিমিষেই গায়েব তারা। প্রকাশ্যে শতশত মানুষের সামনে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শপিং কমপ্লেক্স সংলগ্ন মিনা বাজারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইয়ের শিকার যুবকের নাম মোহাম্মদ হাসান। তিনি পটিয়া থেকে ডাক্তার দেখাতে শহরে এসেছিলেন। টং দোকান থেকে চা পানের সময় তার উপর আচমকা হামলে পড়ে ছিনতাইকারীরা। এ সময় হাসানের কাছে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও ঘড়ি মুহূর্তের মধ্যেই ছিনিয়ে নেয় তারা। বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে এলোপাতাড়ি ঘুষি মারতে থাকে। এতে রক্তাক্ত হন হাসান। ছিনতাইয়ের সময় ওই এলাকায় শতশত যুবক আড্ডারত ছিলেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি তাকে রক্ষা করতে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, এলাকায় একটি ছিনতাইকারী চক্র আছে যে চক্রটি এভাবেই ছিনতাই করে হরহামেশা। এর তথ্য পুলিশের কাছেও রয়েছে। চক্রের সদস্যরা ছদ্মবেশে এখানে আড্ডা দেয়। অপরিচিত কিংবা গ্রামীণ এলাকা থেকে কেউ এসে এখানে দাঁড়ালেই তারা হামলে পড়ে। এ সময় ওই ব্যক্তির কাছে টাকা পাওনা রয়েছে বলে মারধর শুরু করে। এতে আর কেউ এগিয়ে না আসে। এ ফাঁকে তারা ছিনতাই কর্ম সেরে চলে যায়।
এ বিষয়ে ভিকটিম মোহাম্মদ হাসান জানান, আমি রাতে ডাক্তার দেখানোর জন্য শহরে আসি পটিয়া থেকে। এখানে চা পানের সময়ই আচমকা ঘটল ছিনতাইয়ের ঘটনা।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে যাওয়া পাঁচলাইশ থানার এসআই আশিক জানান, ছিনতাইয়ের অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্ত করতে এসেছি। ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলেছি। আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে।
পটিয়া প্রতিনিধিঃ
