ছাত্রমৈত্রীর ২১তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশে বাদশা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ খালেদা-তারেকের মতো মানুষ ভোট পাবে, এই সম্ভাবনা দেখি না মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রকৃত ধারাকে অক্ষুন্ন রাখতে পারলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া এবং মতিউর রহমান নিজামী ও গোলাম আজমের শিষ্যদের ভোট পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতা ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলে হোসেন বাদশা।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর ২১তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। সারাদেশ থেকে আগত ছাত্রমৈত্রীর প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করেন।

উদ্বোধনী সমাবেশে বাদশা বলেন, রাজপথে বিএনপি যতোই সুট-কোর্ট পড়ে আসুক না কেন, তাদের দলের পেছনে সাম্প্রদায়িক বীজ প্রতিয়মান। তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে কী করতে পারে, সেটি তাদের অতিতের রাজনীতি বিশ্লেষণ করলেই খুঁজে পাওয়া যাবে। তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামের দরকার নেই- বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটি আমরা যে কারণে প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, সেই লক্ষ্যকে যদি আগামীর কর্মসূচি হিসেবে সামনে দাঁড় করানো যায়, তাহলেই স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিকে তুরী মেরে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।

বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ‘ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র’ এই দুই মূলনীতি গভীর সংকটে মন্তব্য করে প্রবীন এই রাজনীতিক বলেন, সংসদে বঙ্গবন্ধু যেদিন বাহাত্তরের সংবিধান পাশ করেন, সেদিন চার মূলনীতির মধ্যে দুই মুলনীতির ব্যাখ্যা খুব গভীরভাবে উপস্থাপন করেছিলেন। প্রথমটি ধর্মনিরপেক্ষতা ও দ্বিতীয়টি সমাজতন্ত্র। সমাজতন্ত্রের ব্যাখায় তিনি বলেছিলেন, ‘সমাজতন্ত্র বলতে আমি বুঝি- বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক সমাজ। যে সমাজে সকলের অধিকার সমানভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশের মালিক হবে সাধারণ জনগণ।’ আর ধর্মনিরপক্ষেতা বলতে তিনি খুব স্পষ্ট করে বলেছিলেন, ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার।’ বাংলাদেশে আজকে এই দুই প্রধান মূলনীতিই গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঐক্যবদ্ধ রাজনীতিতে ‘কিছুট’ দুর্বলতা ও ব্যর্থতা আছে উল্লেখ করে রাজশাহী-২ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, আমাদের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে উপলব্ধি করার সময়ে এসেছে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে আনার অর্থ, দেশের ১৮ কোটি মানুষকে সামনে আনা। আমরা এটি করতে না পারলে বা শুধু নিজেদের নিয়ে ভাবলে জনগণ আমাদের রাজনীতির মধ্যে তাদের স্বার্থ খুঁজে পাবে না। তারা বিভ্রান্ত হবে।আমাদের সাথে আসবে না। তাই জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে দেশের সকল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির শক্তিশালী ঐক্য গড়ে তোলাই এখন আমাদের প্রধান রাজনীতি হওয়া উচিত।

Next Post

নন্দীগ্রামে জাতীয় যুব দিবস পালিত

মঙ্গল নভে. ১ , ২০২২
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ ‘প্রশিক্ষিত যুব উন্নত দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যে বগুড়ার নন্দীগ্রামে নানা আয়োজনে জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে  উপজেলা পরিষদ চত্বর হতে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি নন্দীগ্রাম শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links