নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর চারঘাটে বৃদ্ধা মানসুর রহমানকে গলা কেটে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যা উদ্দেশ্য ও আসামীদের আটক পূর্বক ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতেখায়ের আলম।
আটকরা হলেন, ০১। রোমান হোসেন সেতু(২১), পিতা-মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন মোফা ও ০২। মোঃ ইবনে আকাওয়াদ শাওন(২৭), পিতা-মোঃ মোজাম্মেল হক, উভয় সাং-দৌলতপুর, থানা-চারঘাট, জেলা-রাজশাহী।
ঘটনার বরাতে জানা যায়, গত ১৩-১২-২০২০ ইং তারিখ রাজশাহীর চারঘাট থানাধীন শলুয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকায় রাত্রি অনুমান ০৯.০০ টায় নিজ বাসায় মানসুর রহমান(৭০), পিতা-মৃত হবিবর রহমান, সাং-দৌলতপুর, থানা-চারঘাট, জেলা-রাজশাহী এর গলাকাটা মৃত দেহ পাওয়া যায়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম(বার) এর দিকনির্দেশনায় চারঘাট সার্কেলের সিনিয়র এএসপি নূরে আলম এর নেতৃত্বে চারঘাট মডেল থানা পুলিশ তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। তদন্তের একপর্যায়ে সন্দেহভাজন হিসেবে দুইজনকে গ্রেফতার করে এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেন পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামী দুইজন ১৭ ডিসেম্বর বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। মূলত অর্থের লোভে গ্রেফতারকৃত দুইজন এই হত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটায়। তারা দুইজনই স্থানীয়ভাবে বখাটে এবং বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। মৃত মানসুর রহমান এলাকায় তার নিজ বাড়িতে একাই থাকতেন। আটককৃত দুইজন এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘটনার দিন তার বাসায় চুরির পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসাবে শাওনের সহায়তায় আসামী সেতু সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে বাসার ভিতরে প্রবেশ করে এবং শাওন বাসার বাইরে অবস্থান করে। মৃত মানসুর তার রুমের দরজা খুলে বাথরুমের দিকে গেলে সুযোগ বুঝে সেতু বৃদ্ধার ঘরে ঢুকে পরে এবং বিছানা, টেবিলের ড্রয়ার ইত্যাদি ওলট-পালট করে টাকাসহ মূল্যবান সামগ্রী খুঁজতে থাকে। বিষয়টি মৃত মানসুর রহমান টের পেলে রুমে কে আছে বলে চিৎকার দেয়। এ সময় সেতু মৃত মানসুরকে জাপটে ধরে এবং ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তার হাতে থাকা এনট্রি কার্টার দিয়ে গলায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে পালিয়ে