করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীনের মতো সিঙ্গাপুরের যাত্রীদেরও পৃথক ইমিগ্রেশন ও স্কিনিং করা হচ্ছে। সিঙ্গাপুরে দু’জন বাংলাদেশী নাগরিকের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ঢাকা-কলকাতা রুটে চালু মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটিকেও স্কিনিংয়ে আওতায় আনা হয়েছে। বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, চীনা নাগরিকদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ করে দেয়ার পর চীন থেকে আগত যাত্রীদের সংখ্যা কমে গেছে। যাত্রী কম হওয়ার কারণে চায়না, সাউদার্ন ও চায়না ইস্টার্ন ৪টির বদলে ২টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। সিঙ্গাপুর থেকে প্রতিদিন ৪টি ফ্লাইট আসছে।
ওদিকে, চীনের ব্যস্ততম শহর উহান থেকে যে ৩১২ জন বাংলাদেশীকে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা আনা হয়েছিল তাদেরকে আগামী শনিবার বাড়ি যাবার অনুমতি দেয়া হবে। আশকোনা হজ্ব ক্যাম্পে তাদেরকে দু’সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নির্ণয়, রোগ তত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, চীন ফেরত সবাই যার যার বাড়িতে যেতে পারবেন। তাদের সঙ্গে স্বজন বা সাধারণ যে কোন মানুষের সংস্পর্শে থাকা কোন সমস্যা নেই।
ওদিকে, করোনা ভাইরাস সন্দেহে দেশে এ পর্যন্ত ৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের কারোর মধ্যে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়নি।
ডেস্ক রির্পোটঃ