নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার আচিনঘাট এলাকায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের অবহেলায় পপি খাতুন (১৪) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
২ আগষ্ট মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার আচিনঘাটে সূর্যের হাসি নামক ক্লিনিকে তার মৃত্যু হয়।
পপি খাতুন মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউপি’র দরুজপাড়া গ্রামের কৃষক আকাশের স্ত্রী।
নিহতের দুলাভাই মোস্তকিন জানান, তার শ্যালিকার প্রসব ব্যাথা শুরু হলে সোমবার রাতে (১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার আচিনঘাটে সূর্যের হাসি নামক ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরের দিন বেলা ১টা ১৬ মিনিটে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাঃ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে অস্ত্রপাচারের (সিজার) মাধ্যমে পপি খাতুন পুত্র সন্তানের জন্ম দেন এরপর আর ঙ্গান ফিরেনি। এরপর ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম নিজেকে বাঁচাতে কৌশল করে উন্নত চিকিৎসার কথা বলে ক্লিনিকের নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
মোস্তাকিন আরও জানান, আমার ভাইরা ডাক্তার ও ক্লিনিকের মালিকের উপর অনেক ক্ষেপে আছে। সে বলেছে ডাক্তার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমার স্ত্রী মারা গেছে। আমি ওই ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিকের শাস্তি দাবি করছি। এ ঘটনার পর ডাঃ সাইফুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে সূর্যের হাসি ক্লিনিকের এডমিন আজাদ আলীকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাঃ সাইফুল ইসলাম স্যার গৃহবধূ পপির সিজার করেন।
পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ক্লিনিকের পক্ষ থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
নেওয়ার উদ্যোগ নেয়। সেখানে নেওয়ার সময় পথে তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম রাব্বানী বলেন, সাইফুল ইসলাম নামে একজন ডাক্তার আছেন। তবে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজার করেন না। তিনি যদি নিজ দ্বায়িত্ব কোথাও সিজারিয়ান অস্ত্র পাচার করে থাকেন তবে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি আরো বলেন, দুপুর ২ টা র আগে তিনি কোনভাবেই সরকারি দ্বায়িত্বকে অবহেলা করে অন্য কোথাও কাজ করতে পারেন না।