চারঘাটে ইট ভাটা পরিবেশ নষ্টের মূল কারন।

চারঘাট প্রতিনিধিঃ
ফসলি জমি নষ্ট করে এবং সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে রাজশাহীর চারঘাটে চলছে অবৈধ ইটভাটা। ফলে শুধু চাষাবাদ নয়, দুষিত হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। এনিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেনা ভুক্তোভুগী এলাকাবাসী।

তবে অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রভাবশালী ইটভাটা মালিক মাজদার রহমান অনুমোদনহীন ইটভাটা চালিয়ে যাচ্ছেন ।

জানা যায়, চারঘাট উপজেলা সদর থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দুরে মুংলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুংলী উচ্চ বিদ্যালয়, ঝিকরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয, ঝিকরা উচ্চিিবদ্যালয় , খোর্দ্দগোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও অনুপমপুর উচ্চ বিদ্যালয় এ ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একবারেই সন্নিকটে মাজদার রহমান, আলম আলী, সদর ইউপি সদস্য তাকদিরুল মেম্বারের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণ শুরু করেন। নির্মাণের সময় থেকেই স্থানীয় এলাকাবাসী প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি। ক্ষমতার দাপটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে চালিয়ে যাচ্ছেন অবৈধ ইটভাটাটি। ফলে অনুপমপুর এলাকার আশে পাশের আমফল ও ৬ টি বিদ্যালয়ের কমলমতি শিক্ষার্থীদের চরম ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এলাকার সচেতন মহল।

স্থানীয়রা বিষয়টি সম্পর্কে মৌখিক ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলামকে অভিযোগ দেয়া হলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি বলে দাবি করেছেন উপজেলা মাদক প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদশা।

বাদশা বলেন, অবৈধ ইটভাটা সম্পর্কে উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় ৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমলমতি শিক্ষার্থী ও এলাকার আম বাগান মালিকদের কথা বিবেচনা করে ইটভাটাটি বন্ধ করার জন্য ইউএন’ওকে অনুরোধ করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে প্রভাবশালী ওই মহলটি এখনো চালিয়ে যাচ্ছে ইটভাটার কার্যক্রম।

মুংলী অনুপমপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শের-ই-আলম বলেন, ইটভাটা আইন ২০১৪ এর বিধান মতে আধা কিলো মিটার এলাকার মধ্যে কোন জনবসতি ও এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলে সেখানে ইটভাটা করা যাবে না। সরকারের এমন আইন থাকার পরেও মাত্র ২শ মিটারের মধ্যে ৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আশে পাশে ব্যাপক জনবসতির বসবাস ও আমবাগান থাকার পরেও চারঘাটের অনুপমপুর এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ ভাবে ইটভাটা।

এ বিষয়ে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ছয়তারা ইটভাটার মালিক আলম আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের ইটভাটা নির্মানের জন্য কোথাও থেকে কোন ধরনের অনুমোদন নেয়া হয়নি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অতি সন্নিকটে ইটভাটায় কমলমতি শিক্ষার্থীদের ক্ষতি সম্পর্কে তিনি বলেন, একটা কিছু করতে গেলে কিছু সমস্যা তো হয়। তবে তিনি বলেন, আমার মতো অনেকই এভাবেই ইটভাটা নির্মান করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে ইতিমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। তারা বিয়টি সম্পর্কে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, অনুপমপুর জনসমাগম এলাকায় এ ধরনের কোন ইটভাটার অনুমোদন দেয়া হয়নি। তবে খুব শিঘ্রই অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Next Post

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে জাতিসংঘের প্রতিবেদন।

মঙ্গল জুন ৫ , ২০১৮
ভোরের আভা ডেস্ক :বিশ্ব পরিবেশ দিবসে জাতিসংঘের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে আসে যে বিশ্বে এযাবতকালে উৎপাদিত হওয়া ৯ বিলিয়ন টন প্লাস্টিকের ১০ ভাগেরও কম পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশে সেই হার আরও কম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হাফিজা খাতুন মনে করেন, প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links