নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ও আহসানুল্লাহ দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এর আগে ওই তিন যুবককে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আটককরা হল- নয়ালাভাঙা গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩২), একই এলাকার মুকুল আলীর ছেলে আব্দুল মালেক (২৬) ও মৃত ফারুকের ছেলে সিফাত আলী (১৯)। অপর দুই আসামী কৌশলে পালিয়ে যায়। পলাতক দুইজন হলো সালেক ও আবদুল ।
এদিকে শুক্রবার মেয়েটির বাবা নাছিম আলী বাদি হয়ে ওই তিন যুবকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে,
বৃহস্পতিবার রাতে নাছির আলীর অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী ও ভাতিজি নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীকে কৌশলে নয়ালাভাঙা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে আমবাগানে ডেকে নিয়ে যায় এলাকার কয়েকজন বখাটে যুবক। পরে আমবাগানের টং ঘরে দুই ছাত্রীকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে একই এলাকার বখাটে মালেক, সিফাত, শরিফুল, সালেক ও আবদুল।
পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়াউলসহ এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে মালেক, সিফাত ও শরিফুলকে আটক করে এবং দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শামসুল আলম শাহ জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নয়ালাভাঙা গ্রামের ১৭ ও ১৮ বয়সী দুই স্কুল ছাত্রী নয়ালাভাঙা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে দাঁড়িয়ে গল্প করছিল। এ সময় বখাটে শরিফুল, আব্দুল মালেক ও সিফাত আলীসহ ৫ বন্ধু মিলে তাদের কাছে এগিয়ে আসে। বখাটেরা ওই কিশোরীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে গণধর্ষণ করে। পরে বাড়ি ফিরে ধর্ষিতারা তাদের পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানালে পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার শিবগঞ্জ থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং- ৭৫/১৭৩ তারিখ ২৮-০২-২০২০। পরে তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
একই সঙ্গে গ্রেফতাররা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পাশাপাশি দুই ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মেডিকেল পাঠানো হয়। এছাড়া পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত রয়েছে।