আভা ডেস্কঃ চলতি অর্থবছরে দেশের জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। গত মার্চ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচকের বিশ্লেষণ করে জিডিপির সাময়িক হিসাব প্রাক্কলন করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিবিএস।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধির এ হিসাব তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীসহ কমিশনের বিভিন্ন বিভাগের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত।
পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বলেন, ‘চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। করোনার এই পরিস্থিতিতে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হার অনেক ভালো। মার্চ পর্যন্ত ৭ দশমিক ২৫ হলে জুন শেষে এটা আরও বাড়তে পারে, ৭ দশমিক ৫ শতাংশও হতে পারে। আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব পাওয়া যাবে।’
বিবিএসের হিসাব বলছে, এই অর্থবছরে চলতি মূল্যে জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৩৯ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বা ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার।
গত অর্থবছরে জিডিপির আকার ছিল ৩৫ লাখ ৩০ হাজার ২০০ কোটি টাকা বা ৪১৬ বিলিয়ন ডলার।
গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। করোনার কারণে এর আগের বছর ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার নেমেছিল ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশে।
জিডিপির হার করোনার আগের অবস্থায় এসেছে, তাহলে কি দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হয়েছে? এমন প্রশ্নে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, ‘করোনা থেকে অর্থনীতির পুরোটা পুনরুদ্ধার হয়নি। তবে বৃত্তের বাইরে বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অনেক উন্নতি হয়েছে।
‘গত দুই বছরে আমাদের রেমিট্যান্স বেড়েই চলেছে। রপ্তানি আয় ও অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। তা ছাড়া মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির বাড়ছে। আমরা আশা করছি, বছর শেষে আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২৫ শতাংশের বেশি হতে পারে।’