আভা ডেস্কঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্তার ঘটনায় দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করেনি তদন্ত কমিটি।
শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় জড়িত দুজনকে নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করেছি। বাকি তিনজন এখনও নিশ্চিত হইনি। আমরা ফুটেজ চেক করছি। ওই ছাত্রীসহ বসে সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। এখন কারও নাম বলা যাবে না, আমাদের কাজের ব্যাঘাত ঘটবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তদন্ত কমিটি কাজ করছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি পুলিশ দেখবে।’
গত ১৯ জুলাই প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। এতে তিনি জানান, ১৭ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ও তার বন্ধু প্রীতিলতা হলে ফেরার সময় কাছের একটি সড়কে কয়েক যুবক তাদের পথরোধ করেন। তাদের মারধর করে বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে ঝোঁপে নিয়ে যান যুবকরা।
ছাত্রী আরও জানান, তাকে বিবস্ত্র করে মোবাইলে ভিডিও করা হয় এবং সেই ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান যুবকরা। তার বন্ধু এর প্রতিবাদ করলে তার ওপরও নির্যাতন করা হয়। পরে যুবকরা দুজনের মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় দুদিন পর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসানের সই করা কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়াকে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট ড. লায়লা খালেদা ও সহকারী প্রক্টর ড. অরূপ বড়ুয়া।
এ ছাড়া সদস্যসচিব হিসেবে রাখা হয়েছে সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলামকে।