চতুর্থ ধাপ পৌরসভা নির্বাচনে রাজশাহী অঞ্চলে জয়লাভ করেছেন যারা

আভা ডেস্কঃ চতুর্থ ধাপে রাজশাহী অঞ্চলে পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পাঁচজন ও স্বতন্ত্র একজন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এরমধ্যে রাজশাহী চারটি পৌরসভার মধ্যে বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে নৌকা প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ, গোদাগাড়ীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) মনিরুল ইসলাম বাবু, তানোরে নৌকার প্রার্থী ইমরুল হক, পবা উপজেলার নৌকার প্রার্থী হাফিজুর রহমান হাফিজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জে নৌকার প্রার্থী সৈয়দ মনিরুল ইসলাম ও নাটোর জেলার বড়াইগ্রামে নৌকার প্রার্থী মাজেদুল বারী নয়ন জয়লাভ করেছেন।

রোববার রাজশাহীর তানোর, গোদাগাড়ী, পবার নওহাটা এবং বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরে ভোটগণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নওহাটা ছাড়া অন্য তিন পৌরসভায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নওহাটায় নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, তাহেরপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ১০ হাজার ৮৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে বিএনপির প্রার্থী আবু নঈম মো. সামসুর রহমান মিন্টু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন মাত্র ৯০৩ ভোট। আবুল কালাম আজাদ টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন। তার স্ত্রী খন্দকার শায়লা পারভীনও এই পৌরসভার মেয়র ছিলেন।

তানোর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ইমরুল হক ১২ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আর ধানের শীষের প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান পেয়েছেন ৭ হাজার ২১৭ ভোট। বিএনপির ‘বিদ্রোহী’ অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মালেক মণ্ডল নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪৫ ভোট। মিজানুর রহমান মিজান পৌরসভার বর্তমান মেয়র। প্রতিষ্ঠার ২৬ বছর পর এই প্রথম তানোর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের কোন নেতা মেয়র হলেন।

গোদাগাড়ী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাসের ভরাডুবি ঘটেছে। এখানে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মনিরুল ইসলাম বাবু। তিনি পৌরসভার বর্তমান মেয়রও। দলীয় মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। আর এতেই টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র হয়ে গেলেন তিনি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, মনিরুল ইসলাম বাবু ভোট পেয়েছেন ৮ হাজার ৮১৫টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া রুলু তার ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৯৩ ভোট। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ১৪ ভোট। ভোটে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা ড. ওবায়দুল্লাহ জগ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৭৪ ভোট।

এদিকে, নানা নাটকীয়তার নওহাটা পৌরসভায় পর মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাফিজুর রহমান হাফিজকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রামানিক রাতে এই ফল ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, পৌর যুবলীগের সভাপতি হাফিজ তার নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪৫১টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল বারী খান তার নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭৮৬ ভোট। আর বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র মোকবুল হোসেন তার ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ২৭৯ ভোট। ৬৬৫ ভোটে হাফিজের কাছে পরাজিত হওয়া আবদুল বারী খান পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে প্রথমবারের মতো মেয়র হলেন হাফিজুর রহমান হাফিজ।

Next Post

ডিজিটাল পদ্ধতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন

সোম ফেব্রু. ১৫ , ২০২১
আভা ডেস্কঃ কোনো মুক্তিযোদ্ধা কষ্টে থাকবে না। তাদের সবার জন্য থাকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। তাদের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয় সম্মানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে […]

এই রকম আরও খবর

শিরোনাম

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links