আভা ডেস্ক: নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিকে অযৌক্তিক পথে নিয়ে যাওয়া ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চক্রান্ত করছে একটি গোষ্ঠি।
২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অদূরে বাসচাপায় রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীম ও আব্দুল করিম নিহত হয়। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় সড়কের বাঁ-পাশে বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও গুরুতর আহত হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা জাবালে নূর পরিবহনের ওই বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় ও শতাধিক বাস ভাঙচুর করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণ সহ ৯ দফা দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। গত পাঁচ দিন ধরে শিক্ষার্থীরা রাজধানীতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করছে।সরকার ইতোমধ্যে তাদের নয় দফা দাবির সবগুলো মেনে নিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রভাহিত হরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য কিছু কুচক্রী মহল উঠেপড়ে লেগেছে। এই আন্দোলনের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কিছু গ্রুপ বা পেজ খুলে উস্কানিমূলক পোস্ট ছড়ানো হচ্ছে। গত কয়েকদিনের আন্দোলনে ৩০০ গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়াও ৮টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। পুলিশের ৫টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে কিছু নিউজ পোর্টালে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে বিকৃতি, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
গোপন সূত্রে জানা যায়, বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকরা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের উস্কিয়ে দিচ্ছে। তারা কিছু নিউজ পোর্টালের প্রধানমন্ত্রী নামে বিকৃতি, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করছে। শিবির সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সাথে মিশে গিয়ে গাড়ি ভাংচুর ও বাসে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছে, তারা নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে; ভাংচুর বা বিশৃঙ্খলার জন্য নয়। ভাংচুর বা বিশৃঙ্খলার যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তা বহিরাগতরা(ছাত্রদল ও ছাত্রশিবি) করেছে। আন্দোলনের পেছনে কোনও কমিটি, পরিষদ বা নেতা নেই। যে যার অবস্থান থেকে এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।