গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধায় জুয়ারিকে গ্রেপ্তারের খবর প্রচার করায় রংপুর সংবাদ ও কেটিভির গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক সুমন মন্ডলকে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বেদম মারপিট করে হাড়ভাংগা জখম করেছে জুয়ারি লিটন, নজমল, সেলিমসহ ১৪/১৫ জন হামলাকারী। এসময় সুমনের ব্যবহৃত ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা আহত সুমনকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
এব্যপারে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। সাংবাদিক সুমন মন্ডলের উপর বর্বরোচিত হামলায় জেলা জুড়ে সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এঘটনায় সাংবাদিক নেতারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানান।
জানাযায়, গাইবান্ধা সদর উপজেলার আরিফখা গ্রামের মৃত খাদেমুল ইসলামের ছেলে জুয়াড়ী লিটন মিয়া (৪৫)নজমল (৩৫) সেলিম (৩২) গত ৬ এপ্রিল বিকেল ৪ টায় শ্যামপুর সাকিনে খোলা জায়গায় প্রকাশ্যে তাসের জুয়া খেলছিল। সদর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জুয়া খেলা অবস্থায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। এখবর রংপুর সংবাদ ও কেটিভির গাইবান্ধা প্রতিনিধি সুমন মন্ডল প্রচার করে। এর জের ধরে আজ বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টায জুয়ারি লিটন, সেলিম, নজমল হক সংঘবদ্ধ হয়ে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সাংবাদিক সুমন মন্ডলের উপর বাঁশের লাঠি, লোহার রডসহ ১৪ জনের একটি দল অর্তকিত হামলা চালিয়ে বেদম মারপিট করতে থাকে। এসময় সুমন মন্ডলের হাটুর নিচে, পিটে বাঁশের লাঠি কুপিয়েই থেঁতলা করা হয়। সাংবাদিক সুমনের উপর মারপিটের শব্দ শুনে আশে পাশে থেকে লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তার ব্যবহৃত ভিডিও ক্যামেরা, মোবাইল সেট ওনগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। স্বানীয়রা সাংবাদিক সুমনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। একথা জেলা জুড়ে সাংবাদিকরা জানতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর প্রতিবাদে সন্ধ্যায় পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। প্রেসক্লাব সভাপতি রবিউল হোসেন পাতার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রতনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। তারা জুয়াড়ি লিটন গংদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানান। এব্যাপারে সাংবাদিক সুমন অভিযুক্ত লিটন গংদের নামে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।