গাইবান্ধায় আদিবাসী যুব মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব

তোফায়েল হোসেন জাকির ॥ ‘অধিকার ও সংস্কৃৃতি রক্ষায়, আদিবাসী-বাঙালি যুব মিলি একতায়’ এই স্লোগান নিয়ে আদিবাসী যুব মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার দুপুরে ইউএনডিপি-হিউম্যান রাইটস্ প্রোগ্রামের সহযোগিতায় মিলনমেলা উদ্যাপন কমিটি ও অবলন্বন এই মেলার আয়োজন করে।

প্রিসিলা মুর্মুর সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকার কর্মী এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া, সাদুল্যাপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জহুরুল কাইয়ুম, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, সাহেবগঞ্জ ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে, আদিবাসী নেতা গৌড় চন্দ্র পাহাড়ী, অবলন্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী, আদিবাসী যুব মিলনমেলা উদ্যাপন কমিটির সদস্য সচিব মাইকেল মার্ডি, সারা মার্ডি প্রমূখ। পরে অনুষ্ঠান স্থলেই প্রধানমন্ত্রী বরাবরে আদিবাসী জনগোষ্ঠির অধিকার আদায়ের জন্য ১৫দফা দাবি সম্বলিত “স্মারকলিপি” জেলা প্রশাসকের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এসময় সুলতানা কামাল তার আলোচনা বলেন, সকল বৈষম্য মানুষের সৃষ্টি’ প্রকৃতি বা সৃষ্টিকর্তা বৈষম্য তৈরি করেনি।

আমরা মানুষের তৈরি বৈষম্য দুর করতে চাই। এজন্য সকল ধর্ম,বর্ণের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, আদিবাসীদের শিক্ষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় আমরা সর্বাত্বক সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। মেলায় আদিবাসী নেতারা বলেন,তাদের কৃষ্টি ও ঐতিহ্য, সামাজিক রীতিনীতি ও আচার-অনুষ্ঠান ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। এই জনগোষ্ঠীর নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরণের জন্য কোন প্রতিষ্ঠান তো নেইই, এমনকি তাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদি স¤পাদনের জন্য কোন মিলনায়তন বা মিলন স্থান আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বরং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও কৃষ্টি সংরণে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে এক ধরনের উদাসীনতা বিদ্যমান।

এই অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে আদিবাসী যুবাদের আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানোর লক্ষে আজকের এই যুব মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও তারা সরকারি বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে যেমন তাদের দাবী-দাওয়া, কথাগুলো তুলে ধরতে পারবেন তেমনি, সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিকট থেকে তাদের জন্য কি ধরণের সেবা, সুযোগ-সুবিধা আছে, তা জানতে পারবেন। এসময় তারা নি¤œলিখিত ১৫ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রধাণমন্ত্রী বরাবরে জেলা প্রশাশকের নিকট হস্তান্তর করেন।

Next Post

৮ গরু ব্যবসায়ীর গরু বিক্রির ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা গাজীপুর এলাকা থেকে ডাকাতরা ছিনিয়ে নিয়েছে।

সোম সেপ্টে. ৩ , ২০১৮
মোঃ মিলন আলী,কুষ্টিয়া জেলা বিশেষ প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া সদর উপজেলার লাহিনী মিরপুর ও আলামপুরের ৮ গরু ব্যবসায়ীর গরু বিক্রির ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা গাজীপুর এলাকা থেকে ডাকাতরা ছিনিয়ে নিয়েছে। ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন, লাহিনী মিরপুরের শামিম ইসলাম, হামিদুল ইসলাম, ওবায়দুর, আলামপুরের ইমন বিশ্বাস, হাফিজ বিশ্বাস, ইনামুল, গোপালপুরের আলেক ইসলাম, সিনদাহের নাজমুল […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links