মোনায়েম মন্ডল : গাইবান্ধার বালিয়াখালি থেকে তালুকজামিরা যাতায়াতের রাস্তার রিফাইতপুর মাঠপাড়া মসজিদের মোড়ে মূল রাস্তার সাথে সংযোগ স্থলের কমপক্ষে এক’শ ফুট অংশ চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই!
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বালিয়াখালি ইউনিয়নের নুরুলগঞ্জ হাটের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত পলাশবাড়ি উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের তালুকজামিরা যাতায়াতের রাস্তার মোড়। এই মোড় থেকেই রাস্তার উত্তর পাশে রয়েছে রিফাইতপুর মাঠপাড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেম এর পুত্র কামরুজ্জামান এর বিশাল আকৃতির একটি পুকুর। এই পুকুরে মাছ চাষ করার জন্য পুকুর খননের অযুহাতে প্রতিবছর পুকুর থেকে মাটি বিক্রি করে থাকেন। ফলে মাটি কাটার কারণে মোড় থেকে কমপক্ষে এক’শ ফুট রাস্তার গোড়ার মাটি সরে গিয়ে রাস্তাটি সংকোচিত হওয়ায় ভারী যানবাহন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এলাকাবাসী জানান, এই রাস্তা দিয়ে পলাশবাড়ি উপজেলার তালুকজামিরার উপর দিয়ে নাকাইহাট হয়ে গোবিন্দগঞ্জ, বগুড়া এবং পলাশবাড়ির মনোহরপুর, পবনাপুরসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন যায়গায় যাওয়া যায়। প্রতি বছর উল্লেখিত পুকুর থেকে রাস্তার পাশ ঘেঁষে মাটি কাটার কারণে রাস্তার পাশের মাটি সরে গিয়ে মূল রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে রাস্তার দুই পাশের মাটি না থাকায় রাস্তাটি সংকোচিত হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় শুধু মাত্র ভারী যানবাহনই নয়, রিকশা ভ্যান যাতায়াতেও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে, ওই পুকুর সংলগ্ন স্থানেই রয়েছে রাম প্রসাদ এর চাতাল, বালিয়াখালি হাইস্কুল ও প্রাইমারি স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ, নুরুলগঞ্জ হাট, একটি ব্যাংক এবং বালিয়াখালি রেলওয়ে স্টেশন, একটি বিবাহ রেজিস্ট্রার অফিস সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিস রয়েছে। সপ্তাহে দুই দিন নুরুলগঞ্জ হাট বসে। ওই রাস্তা দিয়ে এই হাটে আসে বিভিন্ন যানবাহন ও পথচারী। যা জনগণের চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কিন্তু অদ্যাবধী মেলেনি কোন প্রতিকার।
তাই এলাকার ভূক্তভোগী সচেতন জনগণ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।