খ্যাতনামা ফটোগ্রাফার শহিদুল কে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ।

আভা ডেস্ক: ঢাকায় খ্যাতনামা ফটোগ্রাফার শহীদুল আলমকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে একদল লোক তুলে নিয়ে গেছে।

তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ রাতেই এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন ওই থানার ডিউটি অফিসার এস আই মহিদুল ইসলাম।

ওদিকে বাংলাদেশের বার্তা সংস্থা ইউএনবি’র ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে যে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা মিস্টার আলমকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ইউএনবি’র ওই সংবাদে বলা হয়, “দৃক গ্যালারীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউট এর চেয়ারম্যানকে রোববার রাতে গোয়েন্দারা আটক করেছে”।

সংবাদে আরও বলা হয় “ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেছেন ডিবির একটি টীম শহীদুল আলমকে চলমান ছাত্র বিক্ষোভের বিষয়ে তার কিছু ফেসবুক পোস্ট নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে”।

কিভাবে তুলে নেয়া হলো শহীদুল আলমকে

ওদিকে ঘটনার পরপরই ধানমন্ডি থানায় ছুটে যান মিস্টার আলমের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ।

তাদের পারিবারিক বন্ধু ও সহকর্মী সাইদা গুলরুখও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সাইদা গুলরুখ বিবিসি বাংলাকে জানান রাত দশটার দিকে মিস্টার আলম তার ধানমন্ডির বাসার চতুর্থ তলায় তার কার্যালয়ে বসে কাজ করছিলেন।

তৃতীয় তলায় স্ত্রী রেহনুমা আহমেদের সাথে ছিলেন সাইদা গুলরুখ নিজেই।

তিনি বলেন, “রাত সাড়ে দশটার দিক আমরা হঠাৎ করেই চিৎকার শুনে বেরিয়ে আসার পর বাসার নিরাপত্তাকর্মীরা জানায় যে ৩০/৩৫ লোক এসে শহীদুল আলম কে তার অফিস কক্ষ থেকে জোর করে নিয়ে গেছে”।

তিনি বলেন মিস্টার আলমকে তুলে নেয়ার আগে তারা সিসিটিভি ফুটেজ ও ইন্টারকম ভেঙ্গে ফেলেছে।

“এরপর সবাই দৌড়ে নীচে নেমে আসতে আসতে তাকে গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়। একটি গাড়ীর নম্বার টুকে রাখতে পেরেছে দারোয়ান”।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি বলছে ফেসবুক পোস্ট নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেছে

ধানমন্ডি থানা কি বলছে?

রেহনুমা আহমেদ ও সাইদা গুলরুখসহ কয়েকজন ধানমন্ডি থানায় গেলে থানা থেকে জানানো হয় যে তারা মিস্টার আলমকে আটক করেননি।

পরে রাত একটার দিকে ধানমন্ডি থানার ডিউটি অফিসার এসআই মহিদুল ইসলাম বিবিসি বাংলা’কে জানান যে তারা পরিবারের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।

তিনি বলেন অভিযোগ পত্রে মিস্টার আলমকে তুলে নেয়ার সময় যে গাড়ীটির নম্বর (ঢাকা মেট্রো খ ১৫২৮৩৬) দারোয়ান রাখতে পেরেছেন সেটিও উল্লেখ করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। বিবিসি বাংলা

Next Post

ব্যাংক থেকে পাচার অর্থ আদায়ে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ।

সোম আগস্ট ৬ , ২০১৮
আভা ডেস্ক: জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যাওয়া অর্থ আদায়ে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও একটি বিশেষ সংস্থা খেলাপি ঋণ আদায়ে শীর্ষ খেলাপিদের ওপর প্রবল চাপ প্রয়োগ করছে। এর ফলে কয়েকটি গ্রুপ ইতিমধ্যে প্রায় হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। অন্য বড় বড় খেলাপিও ঋণ পরিশোধ করার অঙ্গীকার […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links