আভা ডেস্কঃ অসুস্থ দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলেও ‘দেশে থেকে’ চিকিৎসা নেয়ার যে শর্ত তাকে দেয়া হয়েছে, তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এই দাবি জানিয়ে বলেন, চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ করাটা অমানবিক বলে আমরা মনে করি। সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে তিনি যাতে বিদেশে যেতে পারেন, সে ব্যাপারে যে বিধি নিষেধ, সেটা প্রত্যাহার করাটা মানবিক একটা কর্ম বলে আমরা মনে করি। এটা আমাদের দাবি।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি একথা বলেন।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে গত ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার।
এরপর থেকে গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন খালেদা জিয়া। বহু বছর ধরেই আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি।
সাময়িক মুক্তির মেয়াদ শেষ হতে আরও কিছুদিন বাকি থাকলেও খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার গত ২৭ আগস্ট মেয়াদ বাড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। পরে তার মুক্তির সময় ৬ মাস বর্ধিত করা হয়। কিন্তু বিদেশ না যাওয়ার শর্ত জুড়ে দেয়া হয়।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, তার বয়স প্রায় ৭৬ বছর, তিনি দারুণভাবে অসুস্থ আমরা সবাই জানি। তাকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে হয়েছে এবং তার উন্নত চিকিৎসা নেয়া দরকার। দীর্ঘদিন তিনি হাসপাতালে ছিলেন, কিন্তু সুস্থ হতে পারেন নাই।
তিনি বলেন, নেত্রীর সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে তাকে বাইরে নিতে হবে। তিনি যাবেন কি যাবেন না, যাওয়ার প্রয়োজন হবে কি হবে না- সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু সরকারি আদেশে তার বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ করাটা অমানবিক বলে আমরা মনে করি।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, সাবেক সংসদ সদস্য নিলোফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আখতার, ইয়াসমীন আরা হক, পিয়ারা মুস্তফা, শামসুন্নাহার ভুঁইয়া এ সময় নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে ছিলেন। সুত্রঃ যুগান্তর