খানা-খন্দকের কারণে এখন প্রায় প্রতিদিনই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট

আভা ডেস্ক:

র্বষার পানিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের অনেকটা অংশ এবার খানা-খন্দকে ভরে গেছে। কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। খানা-খন্দকের কারণে এখন প্রায় প্রতিদিনই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাড়সকটির প্রশস্তকরণ কাজ শেষ না হওয়ার কারণে ওই অংশে প্রায় প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কোরবানীর পশুবাহী ট্রাকগুলো পড়ছে আটকা। কখনো যানবাহণের সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ঈদে নাড়ির টানে ঘরে ফেরা যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে উঠবে বলেও আশঙ্কা করছেন বাস চালক ও যাত্রীরা।

বাস-ট্রাক চালকরা জানান, রাজশাহী বা ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার পরে কখনো কখনো তীব্র যানজটের কারণে ৩-৪ ঘন্টাও অতিরিক্ত সময় পার করতে হচ্ছে রাস্তা পথেই। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন। এটি ঢাকা-রাজশাহী রুটের এখন স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণথ হয়েছে। মাঝে-মাঝে দুই-একদিন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। কিন্তু অধিকাংশ দিনই থাকে যানজটের চিত্র। কখনো পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে যে সকালে পৌঁছার কথা থাকলেও সেখানে পৌঁছাতে পৌাঁছাতে হয়ে যায় সন্ধ্যা।

ঢাকা থেকে ছেড়ে দেশ ট্রাভেলসের যাত্রী মনিরুল ইসলাম বলেন, গতকাল শনিবার সকাল সাতটায় ঢাকা থেকে তাঁদের বাসটি ছাড়ে। এর পর সাভার পার হয়ে এসে যানজটের কবলে পড়তে হয়। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের প্রশস্তকরণ কাজের ফলে যানজটের কবলে গাড়ীগুলো ধিরগতিতে চলতে থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। শেষে প্রায় আড়াই ঘন্টা দেরিতে তাঁরা রাজশাহীতে এসে পোঁছান।

তিনি বলেন, কয়দিন বাদেই শুরু হবে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদের যাত্রা। তখন রাস্তায় আরো যানবাহন বাড়বে। পাশাপাশি কোরবানির পশু ট্রাকগুলোর সংখ্যাও বাড়বে আরো ব্যাপক হারে। এেেত করে অবস্থা চলতে থাকলে ঈদে ঘরমুখো মানষুদের ভোগান্তি তখন আরো বাড়বে।

ঢাকা-রাজশাহী রুটের গ্রামীন ট্রাভেলসের চালক রজব আলী জানান, প্রতিদিনই রাস্তায় জ্যাম দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কটির অন্তত ৪০ কিলোমিটার জুড়ে থাকছে জট। এই রাস্তায়টির অধিকাংশ জায়গা খানা-খন্দকে ভর্তি। এসব কারণে গাড়ীতে যমুনা সেতুর ওপারেই অধিকাংশ সময় কেটে যাচ্ছে যাত্রীদের। বাড়ছে ভোগান্তিও। আবার যমুনা সেতুর পশ্চিম পাশে বনপাড়া থেকে একেবারে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তাটি ভেঙ্গে খানা-খন্দকে পরিণত হয়েছে। এতে করেও ভোগান্তি বাড়ছে। রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে বাস চালাতে হচ্ছে।

এস সানি পরিবহণের চালক আবু বাক্কার সিদ্দিক জানান, ‘ঈদের সময় এমনিতেই রাস্তায় যানবাহণের সংখ্যা বেশি থাকে। বিশেষ করে কোরবানির ঈদে এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুন হয়ে যায়। এতো যানবাহনের চাপে এমনিতেই যানজটের পরিমাণ বাড়ে। তবে এবার রাস্তায় খানা-খন্দকের কারণে সেই জ্যাম আরো বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে।’

এদিকে গতকাল সরেজমিন রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-নওগাঁ রুটের সিটি বাইপাশ ঘুরে দেখা যায়, রাস্তাটির বেলপুকুর থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার খানা-খন্দকে ভর্তি। একয়েকদিন আগে নামেমাত্র সংস্কার করা হলেও বর্ষায় আবার ভেঙে একাকার হয়ে গেছে। ঈদের আগে এই ২০ কিলোমিটার ভাঙা-চুরা রাস্তাটি সংস্কার না হলে ঘরমুখো যাত্রীদের দুর্ভোগের পড়তে হবে বলেও জানান অনেকেই।

এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মহানগর পরিবহণের চালক আব্দুর রশিদ বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের নামে বার বার শুধু অর্থ লোপাট করা হয়। কিন্তু ভালোমানের কাজ না করার কারণে দুদিন পরেই ভেঙে যায়। এ কারণেই এবারো বর্ষায় রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এতে করে ঈদের সময় যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

Next Post

ছোট শিশুরা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে বললেন প্রধানমন্ত্রী।

রবি আগস্ট ১২ , ২০১৮
আভা ডেস্ক: পথচারীদের সতর্ক হয়ে রাস্তা পারাপারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বাসচালকরা ওভারটেক করলে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। আজ রোববার সকালে রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজসংলগ্ন এলাকায় আন্ডারপাস নির্মাণকাজের উদ্বোধনের সময় সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছোট শিশুরা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। […]

শিরোনাম

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links