আভা ডেস্ক: দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে চায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক সূত্রে রোববার এমন আভাস পাওয়া গেছে। সূত্র জানায়, দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ চাচ্ছেন সর্বোচ্চ ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে যেন এই চাঞ্চল্যকর অনিয়মের তদন্ত শেষ করা হয়। ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দুদকের উপপরিচালক সামসুল আলমকে। তদন্ত তদারক করছেন দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলম।
দুদক ২৩ জুলাই ১ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা গায়েবের ঘটনার অনুসন্ধান শুরু করে। ২৪ জুলাই এ ঘটনায় খনি কর্তৃপক্ষ মামলা করার পর অনুসন্ধানের পরিবর্তে ওই মামলাটিই তদন্ত করছে দুদক।
এদিকে কয়লা কেলেঙ্কারির ঘটনায় যে ১৯ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে তাদের সবার বিদেশ গমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আজকালের মধ্যে পুলিশের বিশেষ শাখা ও ইমিগ্রেশনে দুদক থেকে চিঠি দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। এই ১৯ আসামির সবার পাসপোর্ট নম্বর সংগ্রহ করছে দুদক টিম। এছাড়া খনির সাবেক চারজন এমডির বিদেশ গমনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে দুদক। এরা হলেন- সদ্য সাবেক এমডি প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ, সাবেক এমডি এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব, আমিনুজ্জামান ও কামরুজ্জামান। পেট্রোবাংলা গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনার সঙ্গে এদের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে।
এছাড়া পেট্রোবাংলার নিজস্ব তদন্তে চার সাবেক এমডিসহ ঊর্ধ্বতন যেসব কর্মকর্তার নাম এসেছে তাদের সবাইকে দুদকের তদন্তের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে সূত্র জানিয়েছে।
কয়লা খনির ১ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা গায়েবের ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনিসুর রহমান বাদী হয়ে ২৪ জুলাই রাতে পার্বতীপুর থানায় ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলার ১৯ আসামি এখন দুদকের তদন্তের আওতায়।
মামলায় খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ ছাড়া অপর ১৮ আসামি হলেন- বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাময়িক বরখাস্তকৃত মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) আবু তাহের মো. নুর-উজ্জামান চৌধুরী ও উপমহাব্যবস্থাপক (স্টোর ডিপার্টমেন্ট) একেএম খালেদুল ইসলাম, সদ্য বদলিকৃত কোম্পানি সচিব ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কাশেম প্রধানিয়া, ব্যবস্থাপক (এক্সপ্লোরেশন) মোশাররফ হোসেন সরকার, ব্যবস্থাপক (জেনারেল সার্ভিসেস) মাসুদুর রহমান হাওলাদার, ব্যবস্থাপক (প্রডাকশন ম্যানেজমেন্ট) অশোক কুমার হালদার, ব্যবস্থাপক (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড অপারেশন) আরিফুর রহমান, ব্যবস্থাপক (ডিজাইন, কন্সট্রাকশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) জাহিদুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপক (সেইফটি ম্যানেজমেন্ট) একরামুল হক, উপব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্ট) খলিলুর রহমান, উপব্যবস্থাপক (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড অপারেশন) মো. মোর্শেদুজ্জামান, উপব্যবস্থাপক (প্রডাকশন ম্যানেজমেন্ট) হাবিবুর রহমান, উপব্যবস্থাপক (মাইন ডেভেলপমেন্ট) জাহেদুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক (ভেন্টিলেশন ম্যানেজমেন্ট) সত্যেন্দ্রনাথ বর্মণ, ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) সৈয়দ ইমাম হাসান, উপমহাব্যবস্থাপক (মাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) জোবায়ের আলী, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) আবদুল মান্নান পাটোয়ারী ও মহাব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) গোপাল চন্দ্র সাহা।
যুগান্তর