আভা ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদিবসে জন্মদিন পালন করার জন্য বিএনপি ক্ষমা না চাইলে ও দুঃখ প্রকাশ না করলে সংলাপ হবে না।
আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদ আয়োজিত শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পাঁচটি জন্মদিবস একজনের। কোনটা সত্য? জাতির পিতার মৃত্যুদিবসে যাঁরা ভুয়া জন্মদিবস পালন করেন, সে জন্য যদি ক্ষমা না চান, দুঃখ প্রকাশ না করেন, তাহলে তাঁদের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই আসে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপের জন্য টক শোতে যাঁরা কথা বলছেন এবং গণতন্ত্রের জন্য অশ্রুপাত করছেন, তারা রক্তপাতের ইতিহাস কি ভুলে গিয়েছেন?
১৫ আগস্টের নেপথ্যে কারা ছিলেন, তাঁদের চেনেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরা হন্তারকদের বিদেশে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন, বিদেশের দূতাবাসে চাকরির ব্যবস্থা করেছেন এবং তাদের বিচারের পথও বন্ধ করেছেন। তাই সেই সাহায্যকারী দলের সঙ্গে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংলাপ চলে না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনাকে হত্যার লক্ষ্য বানিয়েছিল বিএনপি। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী সান্ত্বনা দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন দরজা খোলা হয়নি। সেদিনই সংলাপের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে একটি কার্যকর সম্পর্ক চেয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অসহযোগিতার জন্য তা হয়নি। তিনি বলেন, ‘কী নির্মম নিষ্ঠুর এ দেশের রাজনীতি।’
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ, গণভবনে খালেদা জিয়ার ডিনারের দাওয়াত প্রত্যাখ্যানের কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার অহমিকার জন্য সংলাপ হতে পারেনি। এত কিছুর পর বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে সংলাপ কীভাবে করবেন।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সরাসরি জড়িত ঘাতকদের বিচার হলেও পেছনে যাঁরা জড়িত ছিলেন তাঁদের বিচার এখনো হয়নি। তাদের মুখোশ উন্মোচন না করলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে না।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী সভায় বলেন, ছাত্রলীগের চালক হিসেবে তাঁরা ভালোভাবেই গাড়ি চালাবেন। নতুন সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আর কোনো অনুযোগ হতে দেবেন না। শেখ হাসিনার মর্যাদা রাখবেন।
বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদের সহসভাপতি জহিরউদ্দিন ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য রাশেদুল আলম, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য বাহাউল হক চুন্নু প্রমুখ।
প্রথম আলো