কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় টাকা গুনে দেওয়ার নাম করে কাগজের পোটলা ধরিয়ে দিয়ে গৃহবধূর সঙ্গে প্রতারণা করে পালানোর সময় প্রতারককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণের টাকা তুলে এক গৃহবধূ বাড়ি ফেরার পথে অভিনব কায়দায় সেই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টাকালে লিটন মিয়া নামের এক প্রতারককে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। এ সময় প্রতারকের সঙ্গী ছকিমুদ্দিন পালিয়ে যায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার গাগলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে মমতা বেগম বাদী হয়ে ওই দুই প্রতারককে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত লিটন মিয়া লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার নাগেড়টারী সাপটিবাড়ী এলাকার মৃত নবিয়ার রহমানের পুত্র এবং পলাতক ছকিমুদ্দিন লালমনিরহাট সদর উপজেলার তালুক হারাটি (সরকারটারী) গ্রামের মৃত আকাশ মিয়ার পুত্র বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের আফছার আলীর স্ত্রী মমতা বেগম পার্শ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলায় অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংকের সন্তোষপুর শাখা থেকে ২৬ হাজার ৮০০ টাকা ঋণ উত্তোলন করে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ওই দুই প্রতারক মোটরসাইকেল নিয়ে ওই গৃহবধূর পিছু নেয়। এরপর গাগলা বাজারে বেড়াবিহীন একটি ফাঁকা ঘরে তাকে থামিয়ে ব্যাংকের পরিচয় দিয়ে ওই গৃহবধূকে জানায়, ব্যাংক থেকে ভুলে তাকে কম টাকা দেওয়া হয়েছে। এজন্য টাকাগুলো আবার গুনে দেখা দরকার। জানায় ব্যাংক থেকে তাদের পাঠানো হয়েছে। তখন সরল বিশ্বাসে টাকাগুলো তাদের হাতে তুলে দেন ওই গৃহবধূ। এরপর টাকাগুলো ঠিক আছে বলে কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়ার জন্য লিটনের হাতে দেন ছকিমুদ্দিন। এরপর খবরের কাগজে টাকা মোড়ানোর পর সেটি কৌশলে সরিয়ে ফেলে একই রকম একটি প্যাকেট মমতা বেগমকে ফেরত দেয় তারা। প্যাকেট হাতে নেওয়ার পর সন্দেহ হলে প্যাকেট খুলে দেখে টাকার বদলে শুধু কাগজ দিয়ে ভরা। কাগজ দেখে মমতা বেগম চিৎকার শুরু করলে লোকজন ছুটে এসে টাকা ও মোটরসাইকেলসহ লিটনকে আটক করলেও ছকিমুদ্দিন পালিয়ে যায়।
নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রওশন কবীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আসামিকে আটক করে আজ শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া পলাতক অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।