কুরআনের ভাষা, ছন্দ ও তাল এমনভাবে আল্লাহ তৈরি করেছেন যে শ্রোতাদের মনে এর প্রভাব ফেলবেই

আভা ডেস্কঃ গত চার বছর ধরে ডিপ্রেশন বা অবসাদে ভুগছিলেন বলিউড অভিনেত্রী জাইরা ওয়াসিম। আঠারো বছরের জাইরা বলিউড ক্যারিয়ারে খুব অল্পদিনেই ফেমাস (বিখ্যাত) হয়ে যান। আমির খানের সাথে দঙ্গল নামে মুভিও করেন। অভিনেত্রী হিসেবে বলিউডের প্রেস্টিজিয়াস ফিল্ম ফেয়ার এওয়ার্ডসহ কয়েকটি পুরস্কারও পান।

কিন্তু এতো জনপ্রিয়তার মাঝেও অবসাদে ভুগছিলেন। শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন বলিউড ও সিনেমা জগৎ থেকে চিরতরে বেরিয়ে আসার।

সিনেমা, ফিল্ম, মডেলিং ইন্ড্রাস্ট্রির জগতে জনপ্রিয়তা এমন এক জিনিস যা একবার পেলে তা ক্রমাগত পেতেই চায়। আবার যারা পায়নি, তারা এটা পেতে যেকোনো পথে চলতে কার্পণ্য বোধ করে না।

নিজের জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য যে জগতে সবাই মরিয়া হয়ে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, এই অবস্থায় তার পক্ষে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক বেশি কঠিন ছিল। আর এটা সম্ভব হয়েছে তার ধর্মীয় শিক্ষা ও বিশ্বাসের কারণে।

ডিপ্রেশনে ভগার পর মানুষ যখন তা ভুলতে মদ, গান, আড্ডাবাজিতে ব্যস্ত হয়ে পরে, সেই সময়ে জাইরা আশ্রয় নেন ধর্মের। বেশি করে ধর্মীয় চর্চা শুরু করেন, নিয়মিত কুরআন পড়ে বুঝার চেষ্টা করেন। এভাবে একসময় তার তার মনে শান্তি চলে আসে, সব ডিপ্রেশন দূর হয়ে যায়।

এরপর টুইটার ও ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে সে বলিউড থেকে চিরতরে বের হয়ে আসার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানান। কারণ হিসেবে নিজের দ্বীন ও ধর্ম রক্ষার কথা উল্লেখ করেন।

এই পোস্টটা জাইরা তার ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম ও টুইটার একাউন্টে পোস্ট করার পর তার ম্যানেজার বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে প্রচার করে যে তার একাউন্ট হ্যাক হয়েছে। পরে জাইরা ও তার পরিবারের চাপে আবার সে তার বক্তব্য পাল্টে ফেলে ও জানায় হ্যাকের ঘটনা সত্য নয়। টুইটার থেকেও নিশ্চিত করা হয় একাউন্ট হ্যাক হয়নি।

জায়রা ওয়াসিম তার পোস্টে লেখেন, ‘বলিউডে পা রাখার পর তুমুল জনপ্রিয়তা পাই। কিন্তু এই জগতটা আমাকে ক্রমশ অবমাননার দিকে ঠেলে দিয়েছে, ক্রমশ অসচেতন ভাবে আমি আমার ঈমান থেকে বেরিয়ে এসেছি। ধর্মের সঙ্গে আমার সম্পর্ক বিপন্ন হয়ে যায়। কিন্তু কোরআনের ঐশ্বরিক জ্ঞানের মধ্যে আমি তৃপ্তি এবং শান্তি খুঁজে পেয়েছি”।

ইউটিউবে অনেক সুন্দর কুরআন তেলওয়াতের ভিডিও, অডিও পাওয়া যায়। সেখানাকার কমেন্ট সেকশনে গেলে দেখবেন অনেক অমুসলিমদের মন্তব্য। তারা আরবি বুঝে না, কুরআনে কী লেখা আছে তাও জানে না। কিন্তু তাদের মন্তব্যে দেখবেন যে, কুরআন তেলওয়াত শুনার ফলে তাদের মনে প্রশান্তি চলে আসে। এই জন্য তারা নিয়মিত শুনে।

কুরআনের ভাষা, ছন্দ ও তাল এমনভাবে আল্লাহ তৈরি করেছেন যে শ্রোতাদের মনে এর প্রভাব ফেলবেই। ফলে কুরআন পড়লে যেমন মনে শান্তি আসে, শুনলেও শান্তি আসে, সকল মানসিক চাপ, দুঃখ দূর হয়ে যায়।

যুগান্তর

Next Post

চীনের শত্রুদের জন্য আরেক ‘অশনি সংকেত’। শব্দের চেয়ে গতি সম্পুর্ন মৃত্যু পরোয়ানা তৈরি করলো চীন।

সোম জুলাই ৮ , ২০১৯
আভা ডেস্কঃ প্রতিনিয়তই নতুন নতুন সাবমেরিন, রণতরী আর যুদ্ধবিমান নামাচ্ছে চীন। বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে অস্ত্রাগারে যোগ করতে যাচ্ছে একেবারেই নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। চীনের শত্রুদের জন্য আরেক ‘অশনি সংকেত’। সম্প্রতি এর সর্বশেষ পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এক কথায় একে বলা হচ্ছে ‘অদম্য’, ‘অপ্রতিরোধ্য’। বিশ্বের সমকালীন কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই একে আটকাতে বা […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links