কিম একজন মেধাবী, ট্রাম্প।

আভা ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উনের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমরা চমৎকার একটি দিন পার করেছি। আমরা পরস্পরের সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি।

এ সময়ে এক প্রতিবেদক জিজ্ঞেস করেন, কিম সম্পর্কে আপনি কী জেনেছেন?

ট্রাম্প বলেন, আমি জানালাম, কিম একজন মেধাবী মানুষ। এছাড়াও আমি জানলাম, তিনি তার দেশকে অনেক বেশি ভালোবাসেন। এর পর তারা আবারো দুই হাত প্রসারিত করে করমর্দন করেন। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে আরও বহু সাক্ষাৎ হবে।

এর আগে কিমের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, সবাই যা কল্পনা করেছেন, তার চেয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, তিনি ও কিম জং উন কিছু একটা সই করার পথে রয়েছেন। তবে কি সই করবেন, সে বিষয়ে কিছু বলেননি।

এ সময়ে এক প্রতিবেদক ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করেন, কি সই করছেন, স্যার? তখন ট্রাম্প বলেন, কয়েক মিনিট পরেই আমরা তা ঘোষণা করতে যাচ্ছি।

সিঙ্গাপুরের সান্তোসা দ্বীপের কাপেলা হোটেলে কিম জং উনের সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠক শেষে নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে খাবার খেতে বের হওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন। তারা প্রায় ৪০ মিনিট আলোচনা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতার এই প্রথম কোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে পরস্পরের দিকে সতর্কভাবে হেসে করমর্দন করে ঐতিহাসিক বৈঠক শুরু করেন তারা। এসময়ে তারা প্রায় ১২ সেকেন্ড করমর্দন করেন। করমর্দন শেষে কিম জং উনের ডান কাঁধ আলতোভাবে স্পর্শ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তাদের এ বৈঠক সফল হলে তা উত্তর-পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তার চিত্রে দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন আনতে পারে।

এটা অনেকটা ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের চীন সফরের মতো হতে পারে, যার পর থেকে চীনের রূপান্তর ঘটেছিল।

বিবিসি জানিয়েছে, ঐতিহাসিক সাক্ষাতের শুরুর পর্বে কাপেলা হোটেলের দুই পাশ থেকে দুই নেতা হেঁটে এসে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার পতাকা দিয়ে সজ্জিত একটি দৃশ্যপটের সামনে প্রথমবারের মতো পরস্পরের মুখোমুখি হয়ে দৃঢ়ভাবে করমর্দন করেন।

গণমাধ্যমের সামনে সংক্ষিপ্ত ওই পর্বে দুই নেতা প্রাথমিক মন্তব্য বিনিময় করেন।

কিম বলেন, আপনার সঙ্গে দেখা হয়ে খুশি হলাম মিস্টার প্রেসিডেন্ট।

উত্তরে ট্রাম্প বলেন, আমি সত্যি গর্ব অনুভব করছি। আমরা মহৎ একটি আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছি এবং তা ব্যাপকভাবে সফল হবে বলে আশা করছি। আমার ধারণা এটি সত্যিই সফল হতে যাচ্ছে এবং আমাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক হবে, আমার কোনো সন্দেহ নেই।

উত্তরে কিম বলেন, ওয়েল, এ পর্যন্ত আসাটা সহজ ছিল না। অতীতে আমাদের পথে অনেক প্রতিবন্ধকতা বসানো ছিল, কিন্তু আমরা সেগুলো সব অতিক্রম করেছি এবং আজ আমরা এখানে।

কাপেলা হোটেলে পৌঁছে তাদের লিমুজিন থেকে নামার সময় উভয় নেতাকেই বেশ সিরিয়াস মনে হয়েছে বলে জানিয়েছেন রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক। যুগান্তর

Next Post

ভুতরে বাড়ি এখন পর্যটকদের আর্কষণ।

মঙ্গল জুন ১২ , ২০১৮
আভা ডেস্ক: সেই গ্রাম পরিত্যক্ত হয়েছিল কবেই। খাঁ খাঁ পড়েছিল তার বাড়ি-ঘর, পথ-ঘাট। ক্রমশ জুটে গিয়েছিল ‘ভৌতিক’ বলে খ্যাতিও। কিন্তু ক্রমে সেই ‘ভূতুড়ে’ গ্রামটিই হয়ে উঠল পর্যটক-আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এমনটাই ঘটেছে পূর্ব চিনের শেংশান দ্বীপের গ্রাম হোউতোউওয়ানের ভাগ্যে। একদা এই গ্রামে ছিল ৩,০০০ মৎস্যজীবীর বাস। ১৯৯০-এর দশকে এই গ্রামের বাসিন্দারা শহরের […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links