আভা ডেস্ক : কায়িক শ্রমের অপর্যাপ্ততার কারণে নারীদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ছে। ৯ সেপ্টেম্বর, রবিবার বণিক বার্তার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিবিএসের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ মানুষ উচ্চ বা নিম্নরক্তচাপে ভুগছেন। পুরুষদের মধ্যে এর ব্যাপকতা ৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। তবে নারীদের মধ্যে তা ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে মানুষের জীবনযাত্রা সহজ হওয়ায় কায়িক শ্রমের পরিমাণ কমে গেছে। পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে কায়িক শ্রমের অপর্যাপ্ততা বেশি।
ফলে নারীদের মধ্যে স্থুলতার হার বাড়ছে। তারা ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপের মতো অসংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে এই অপর্যাপ্ত কায়িক শ্রম নারীদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র বাংলাদেশ, আইসিডিডিআর বি’র অসংক্রামক রোগ কর্মসূচির প্রধান ড. আলিয়া নাহিদ। তিনি বলেন, ‘সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের নারীরা বেশিমাত্রায় ঘরমুখী এবং পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি ইনঅ্যাক্টিভ।’
‘এ ছাড়া কাজের ধরনের কারণেও পুরুষদের তুলনায় কিছুটা হলেও নারীরা ফিজিক্যালি ইনঅ্যাক্টিভ থাকেন। সেই সঙ্গে ব্যায়ামের বিষয়গুলোও নারীদের মধ্যে অনেক কম। তাই নারীদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপের মতো রোগের ঝুঁকিটাও বেশি।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও’র হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে ৭১ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে ৩৫ লাখের বেশি নারী রয়েছেন।
ডব্লিউএইচও সুপারিশ অনুযায়ী, সুস্থ থাকতে পূর্ণবয়স্ক একজন মানুষের মাঝারি থেকে উচ্চমাত্রার কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের প্রয়োজন সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট।
ড. আলিয়া নাহিদ বলেন, ‘সিঁড়ি ভেঙে ওঠানামা, ভারী কাজ, দৌড়ানো, জোরে জোরে হাঁটা অর্থাৎ যে কাজে মানুষ অন্তত হাঁপিয়ে যায়, তা-ই কায়িক পরিশ্রম। ডব্লিউএইচওর গাইড লাইন অনুযায়ী সবাইকে যদি কায়িক পরিশ্রমের সুযোগ করে দেওয়া যায়, তাহলে দৈহিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাথমিক অবস্থায় উচ্চরক্তচাপ বা ডায়াবেটিস ধরা পড়লে পর্যাপ্ত কায়িক শ্রমের মাধ্যমে এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়। এমনকি পর্যাপ্ত কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে ডায়াবেটিস ছাড়া উচ্চরক্তচাপ, ক্যান্সার ও বিষণ্নতার ঝুঁকিও কমে যায়।
প্রিয় কম