নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ইমামতি করছেন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকা রাজশাহী প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক ক্যাশ ইনচার্জ শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল।
পরিবার ও সম্প্রতি জেল হাজত থেকে বের হওয়ার তার পরিচিত এক ব্যক্তি জানায়, দীর্ঘ ২৫ মাস থেকে কারাগারে ইমামতি করছেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের রাজশাহী শাখা থেকে টাকা সরিয়ে নেয়ার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক ক্যাশ ইনচার্জ শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল। কারাকতৃপক্ষ তাকে যখন যে ওয়ার্ডে রেখেছেন তখন সে ওয়ার্ডে তিনিই ইমামতি করেছেন বলে জানা গেছে।
কারাগার ও মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারী রাজশাহীতে প্রিমিয়ার ব্যাংকের রাজশাহী শাখার তিন কোটি ৪৫ লাখ টাকা সরিয়ে নেয়ার ঘটনায় টাকা আত্নসাতের অভিযোগে প্রিমিয়ার ব্যাংকের রাজশাহী শাখায় ক্যাশ ইনচার্জ শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল এর বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার সেলিম রেজা খান। এই মামলায় একই বছরের ২৭ জানুয়ারী ক্যাশ ইনচার্জ শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সালকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করেন বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ২৫মাস থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি।
প্রত্যাক্ষদোষী সেই ব্যক্তি জানান তার বর্তমান ব্যবহার অনেক ভালো। তবে তিনি ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন তার পরিবার।
কারাগারে ইমামতি করা বিষয়ে কারাগারে আটক প্রিমিয়ার ব্যাংকের ক্যাশ ইনচাজ শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল সেই ব্যক্তিকে বলেন, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ভোল্ট থেকে তিন কোটি ৪৫ লাখ টাকা সরিয়ে নেয়ার ঘটনায় গত ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারী থেকে ফয়সাল কারাগারে ৫ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে সময় কাটাচ্ছে। সে জানে না আর কতোদিন এ অন্ধকার কারাগারে তাকে থাকা লাগবে। তাঁকে ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা বলেছিলেন তিন কোটি ৪৫ লাখ টাকা সরিয়ে নেয়ার সব দায় স্বীকার করে নিতে বলেছিলো। তাহলে তারা তার পরিবারসহ তাদের খোঁজ খবর নিবে। এমনকি তারা তাঁকে কারাগার থেকে মুক্ত করবে। কিন্তু তারা তার বা পরিবারের কোন খোঁজ কবরই রাখেননি। ফায়সাল তার পরিবারের কাছ থেকে জানতে পারে বরং ব্যাংক কতৃপক্ষ এখন তাকে একা এই মামলায় ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠে উচ্চ আদালতে তার মামলার জামিনে তাদের ব্যারিস্টার দাঁড় করিয়ে বাধা দিচ্ছে।
আটক ফায়সাল সেই ব্যক্তিকে আরো বলেন, মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে গত দুই বছর ধরে ফায়সাল টাকা গুলো ব্যাংক থেকে সরাতে থাকে। তাহলে গত দুবছরে কয়েকটি অডিট হয়েছে ব্যাংকে, সেখানে কোথাও টাকা কম আছে বা গড়মিলের কোন তথ্য নেই। ফায়সাল যদি গত দুই বছর ধরে টাকা গুলো ব্যাংক থেকে সরাতে থাকে তাহলে অডিটে কি করে সব ঠিক থাকে এই প্রশ্ন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)সহ রাজশাহী সকল জনগনের কাছে।
সর্ব শেষে ফায়সাল সেই ব্যক্তিকে বলেন সে একা এই ঘটনায় জড়িত না। সুষ্ঠ তদন্ত করে ব্যাংকের অন্য কর্মকর্তারা এই মামলায় জড়িত হওয়া কথা, অজ্ঞাত কারণে তারা ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন। তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন তাদেরকেও মামলায় সংযুক্ত করতে দেশের সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনির সদস্যদের নিকট অকুল আবেদন জানিয়েছেন।
শনি ফেব্রু. ১২ , ২০২২
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো প্রকল্পের আওতায় মহানগরীতে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলমান চলছে। প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটির আওতায় মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রশস্তকরণ, সকল ওয়ার্ডে রাস্তা ড্রেন সহ নানা অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নানাবিধ […]
এই রকম আরও খবর
-
১৩ জুন, ২০২০, ১০:২৭ অপরাহ্ন
-
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৩৫ অপরাহ্ন
-
২৯ আগস্ট, ২০২০, ৮:০৫ অপরাহ্ন
-
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:১৯ পূর্বাহ্ন
-
২৮ মে, ২০২২, ১১:৩২ অপরাহ্ন
-
২৭ আগস্ট, ২০২০, ৬:৪৫ অপরাহ্ন