নিজস্ব প্রতিনিধিঃ করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে রাজশাহী সদর হাসপাতালকে প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে বাজেট এসেছে। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল করতে হলে- সেখানে সেন্টাল অক্সিজেন, ১৫টি আইসিইউ বেড থাকবে। সদরে এখন রিপিয়ারিং কাজ শুরু হয়েছে। আরও ২ থেকে আড়ায় মাসের মধ্যে সদর হাসপাতালটি ব্যবহার করা যাবে।
রোববার (৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কোভিড-১৯ নিয়ে ব্রিফিং এ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী সংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তিনি জানান- যখন আমাদের হাসপাতালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫০ শতাংশ রোগী ছিলো। তখন আমাদের লকডাউন দিতে হতো। এখন সব জায়গায় ছড়িয়ে গেছে। লকডাউন দিতে দেড়ি হয়ে গেছে। লকডাউন দিয়ে, জীবন নিয়ে চিন্তা করলে হবে না- জীবিকার নিয়েও চিন্তা করতে হবে। লকডাউন চলছে- আমরা আশা করছি, ফল পাব।
তিনি আরো জানান- রামেক হাসপাতালের চার নম্বর ওয়ার্ড করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আজ রোবাবর অথবা আগামীকাল সোমবার (৫ জুলাই) সকালে উদ্বোধন করা হবে। সেখানে ৫০টি অক্সিজেনের লাইস সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া করোনা রোগীকে বাইরে থাকে মাস্ক কেনা লাগবে না। মাস্ক হাসপাতাল থেকে সরবারহ করা হবে।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক জানান, হাসপাতালে গ্রামের রোগীগুলো আসছে শেষ সময়ে। তাদের মধ্যে সচেতনা কম। করোনায় কি করতে হবে, এই আইডিয়াটা তাদের নাই। তবে এখন গ্রামের মানুষও সচেতন হয়েছে। আশা করছি কমবে করোনায় আক্রান্ত। এছাড়া করোনা চিকিৎসায় হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মকর্তারা আন্তরিকভাবে কাজ করছেন।
দুপুরে মুঠোফোন রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, আবেদন করা হয়েছিল। কাজের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। আমাদের জানিয়েছে আপনারা কাজ শুরু করেন। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হবে। সেখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন থাকবে।