এ টু জেড ইরফান খান

বিনোদন: ২৯ এপ্রিল না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বলিউড অভিনেতা ইরফান খান। শক্তিমান এই অভিনেতার দীর্ঘ ৩০ বছরের অভিনয় জীবন নিয়ে বিশেষ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এবিপি আনন্দ। পাঠকদের জন্য প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হলো

রাজস্থানে জয়পুরে ১৯৬৬ সালের ৭ জানুয়ারি জন্ম তার। মুসলিম নবাব পরিবারের সন্তান ইরফান ১৯৮৪ সালে  দিল্লিতে ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-তে পড়াশোনার জন্য স্কলারশিপ পান। বলছি হিন্দি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ইরফান খানের কথা।

ইরফান খান হিন্দি সিনেমা ছাড়াও ব্রিটিশ ও হলিউড সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। ১৯৮৭ সালে পড়াশোনা শেষ করে ইরফান মুম্বাই পাড়ি দেন। সেখানে ‘চাণক্য’, ‘সারা জাহাঁ হামারা’, ‘বনেগি আপনি বাত’ ও ‘চন্দ্রকান্তা’-র মতো টেলিভিশন সিরিয়ালে অভিনয় করেন।

ইরফান খান ১৯৮৮ সালের  আগে  টেলিভিশন সিরিয়াল ও থিয়েটারেই অভিনয় করতেন। ১৯৮৮ সালে ‘সালাম বম্বে’ সিনেমায় অতিথি শিল্পীর ভূমিকায় অভিনয়ের প্রস্তাব দেন মীরা নায়ার। যদিও তাকে প্রথম  সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

এরপর ১৯৯০ সালের কথা তার অভিনীত ‘ এক ডক্টর কি মৌত’ সিনেমা প্রশংসিত হয়।  বেশ কিছু অসফল সিনেমার পর ইরফানের পটপরিবর্তন আসে লন্ডনের পরিচালক আসিফ কাপাডিয়ার হাত ধরে। কাপাডিয়া ইতিহাস-ভিত্তিক সিনেমা দ্য ওয়ারিয়র-এ তাকে লিড রোল দেন।

২০০১ সালে দ্য ওয়ারিয়র আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হয়। এই সিনেমার মাধ্যমেই চলচ্চিত্র মহলে পরিচিত নাম হয়ে ওঠেন তিনি। ২০০৩-এ শেক্সপিয়রের ম্যাকবেথ অবলম্বনে মকবুল সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন ইরফান।

২০০৫-এ রোগ সিনেমায় বলিউডে তাকে প্রথমবার প্রধান চরিত্রে দেখা যায়। এরপর বলিউডের একের পর এক সিনেমায় হয় তাকে প্রধান বা পার্শ্ব চরিত্র বা ভিলেনের ভূমিকায় দেখা গেছে।

২০০৭-এ বক্সঅফিসে হিট মেট্রো সিনেমার জন্য ফিল্মফেয়ার বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাক্টরের পুরস্কার পেয়েছিলেন ইরফান।  তাকে আ মাইটি হার্ট ও দ্য দার্জিলিং লিমিটেড-এর মতো আন্তর্জাতিক সিনেমাতেও দেখা যায়।

বলিউডে সাফল্যের পরও ছোট পর্দার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি ইরফান। বেশ কয়েকটি শো-র সঞ্চালনা করেন তিনি। ৩০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৫০-এর বেশি হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেছেন ইরফান। তার শেষ সিনেমা ছিল আংরেজি মিডিয়াম। করোনাভাইরাস রুখতে দেশজুড়ে লকডাউনের আগে এই সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। হাসিল সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ২০০৪-এ ফিল্মফেয়ার সেরা ভিলেনের পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।

ইরফান খান দ্য মাইটি হার্ট, স্ল্যামডগ মিলেয়নিয়র, দ্য অ্যামেজিং স্পাইডার ম্যান-এর মতো সিনেমার অভিনেতা। ২০১১ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার পান তিনি। এছাড়া ২০১২-এ ভারতের ৬০ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ইরফান  ‘পান সিংহ তোমর’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন।

Next Post

কখন শরীরচর্চা করলে লাভ বেশি?

বৃহস্পতি এপ্রিল ৩০ , ২০২০
লাইফস্টাইল ডেস্ক: স্বাস্থ্যকর খাবারের যেমন বিকল্প নেই, ঠিক তেমনি নিয়মিত শরীরচর্চার বিকল্প নেই। নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন শরীরচর্চা করছেন কিন্তু জানেন কি, কখন শরীরচর্চা করলে লাভ বেশি? বেশিরভাগ মানুষই ঘুম থেকে ওঠার পর সকাল বেলাকে ব্যায়ামের উপযুক্ত বলে মনে করেন। কারও যদি সকালে দেরিতে ওঠার অভ্যাস থেকে থাকে? তখন কখন […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links