এরশাদকে স্বৈরাচার বলা যাবে না, জিএম কাদের।

আভা ডেস্কঃ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আদালত বৈধ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বৈধ রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবেই তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। তাই কোনোভাবেই তাকে স্বৈরাচার বলা যাবে না। বরং তিনি ছিলেন প্রকৃত গণতন্ত্রমনা রাষ্ট্রনায়ক।

সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে রোববার (৬ ডিসেম্বর) পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, পল্লীবন্ধুকে গায়ের জোরে স্বৈরাচার বলা হয়। অথচ এরশাদের সামনে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার সুযোগ ছিলো।  কিন্তু তিনি গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় সংবিধানকে সমুন্নত রেখেই ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

জিএম কাদের দুঃখ করে বলেন, এরশাদের ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে দেশ উল্টো পথে হাঁটছে।  ৯৬ সালের পর থেকে পরপর চারবার বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ঘুষ, দুর্নীতি, বিচারবহির্ভূত হত্যা বেড়েছে।

এ সময় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই ডা. মিলন ও নূর হোসেনকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত ৩০ বছরেও ডা. মিলন ও নূর হোসেনর হত্যার বিচার হয়নি। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে অবশ্যই এই হত্যার বিচার করবে।

কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, দেশের মানুষকে স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ দিয়েছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।  তিনি এদেশের মানুষের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন।

কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেন, হুসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর পরেই গণতন্ত্রের মানসপুত্র হচ্ছেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বঙ্গবন্ধুর পরে পল্লীবন্ধুর উন্নয়ন ও সুশাসন ইতিহাসের পাতাই স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ১৯৯১ সালে তিন জোটের রুপরেখায় মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের লালন করা হয়েছে।  ৯১ সালের নির্বাচনে নিজামী ও মুজাহিদকে এমপি বানানো হয়েছিলো।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ভোটাধিকার নেই, মানুষের কথা বলা অধিকার নেই। নির্বাচনের ওপর আস্থা নেই দেশের মানুষের। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন দাবি করেন তিনি।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, এস.এম. ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, আব্দুস সাত্তার মিয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মিসেস শেরিফা কাদের, মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, জহিরুল ইসলাম রুবেল, মেহেরুন্নেসা খান হেনা, ভাইস চেয়ারম্যান আদেলুর রহমান এমপি, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, কৃষক পার্টির সাধরণ সম্পাদক এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টির আহ্বায়ক ইসহাক ভূঁইয়া, জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি একেএম আশরাফুজ্জামান খান।

উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আজম খান, সৈয়দ দিদার বখত্, মেজর অব. রানা মো. সোহেল এমপি, মনিরুল ইসলাম মিলন, ড. নুরুল আজহার, হারুন রশীদ, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আব্দুস সালাম, নিগার সুলতানা রানী, সুলতান আহমেদ সেলিম, কাজী আশরাফ সিদ্দিকী, মো. লুৎফুর রেজা খোকন, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা, আমির হোসেন ভূঁইয়া, মো. সামসুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন সরকার, মো. হেলাল উদ্দিন, সৈয়দ মঞ্জুরুর হোসেন মঞ্জু, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. হুমায়ুন খান, আনোয়ার হোসেন তোতা, সৈয়দ মো. ইফতেকার আহসান হাসান, কাজী আবুল খায়ের, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুলতান মাহমুদ, মাসুদুর রহমান মাসুম, এম.এ. রাজ্জাক খান, আহাদ চৌধুরী শাহীন, মিজানুর রহমান মিরু, সুমন আশরাফ, মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, আজহার সরকার, নিজাম উদ্দিন সরকার।

Next Post

পাঁচবিবি থানায় ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০১ জন গ্রেফতার

সোম ডিসে. ৭ , ২০২০
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানায় ৭৪০ (সাতশত চল্লিশ) পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। জয়পুরহাটে মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে পাঁচবিবি থানার এসআই(নিঃ) গোলাম মোস্তফা এবং সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ পাঁচবিবি থানার বাগজানা ইউনিয়নের আটাপাড়া গ্রাম হইতে ৭৪০ (সাতশত চল্লিশ) পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ মিনারুল ইসলাম(২১), […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links