নীলফামারী প্রতিনিধি: ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে তিস্তার সেচ দেয়া হচ্ছে চলতি বোরো মৌসুমে। এর মাধ্যমে এবার তিন জেলার ৫ লাখ ১২ হাজার কৃষক সেচ সুবিধা পাচ্ছেন। এবারই সবচেয়ে বেশি এলাকায় সেচ দিচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সুবিধাভোগীর হিসেবে এবার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
তিস্তা সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮৪ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া সম্ভব হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে এর আগে সেচ প্রদানে ব্যাঘাত ঘটেছে।
সূত্র মতে, ২০১৬ সালে ১০ হাজার, ২০১৭ সালে ৮ হাজার, ২০১৮ সালে ৩৫ হাজার, ২০১৯ সালে ৪০ হাজার, ২০২০ সালে ৪১ হাজার এবং ২০২১ সালে ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া হয়। গত মৌসুমে নির্ধারণ করা লক্ষ্যমাত্রা এবারও ঠিক রেখে ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা ইতোমধ্যে শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বছরে প্রতি বিঘা জমিতে সেচের জন্য ১৬০ টাকা নেয়া হয় কৃষকদের কাছ থেকে এবং একর প্রতি (তিন বিঘা) নেয়া হয় ৪৮০ টাকা। নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার ১২ উপজেলার ২৪২টি পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সহযোগিতায় প্রস্তাবিত এলাকায় পর্যায়ক্রমে সেচ দেয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ২০০৩ সালে সেচ কার্যক্রম শুরু করে তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প। টারশিয়ারি ও সেকেন্ডারি মিলে ৭৬০ কিলোমিটার নালা থেকে এই সেচ সুবিধা দেয়া হয় কৃষকদের।
পানি ব্যবস্থাপনা সমিতি কিশোরগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সেচ পাম্প বা শ্যালো মেশিন দিয়ে বোরো আবাদে যেখানে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়, সেখানে তিস্তা সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে মাত্র ৪৮০ টাকায় সম্ভব।’
পানির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমরা পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। কোথাও কম বা বেশি নয়। যেখানে যতটুকু পানি প্রয়োজন সেখানে ঠিক ততটুকু পানি দিতে প্রস্তুত আমরা।
জাহাঙ্গীর জানান, সেচ সুবিধা ভালো পেতে গত মৌসুমে তারা জানুয়ারির প্রথম দিকেই বোরো আবাদ শুরু করেছিলেন। এবারও তা-ই হয়েছে। আগামী এপ্রিল পর্যন্ত তিস্তার সেচ সুবিধা পাওয়ার আশা তাদের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাফিউল বারী শামীম বলেন, পানির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমরা পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। কোথাও কম বা বেশি নয়। যেখানে যতটুকু পানি প্রয়োজন, সেখানে ঠিক ততটুকু পানি দিতে প্রস্তুত আমরা। সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে অতীতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাঘাত ঘটলেও এবার তা হবে না। প্রকল্প এলাকার ২৪২টি সমিতির সঙ্গে আলোচনা করেই রোটেশন অনুযায়ী পানি দেয়া হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাফিউল বারী শামীম বলেন, ‘তিস্তা ব্যারাজ রিজার্ভারে বর্তমানে ১৫ হাজার কিউসেক পানি রয়েছে, যা দিয়ে নির্ধারিত এলাকাগুলোতে পানি দেয়া সম্ভব। নদীতে ফেব্রুয়ারির দিকে পানি কমতে থাকে। তারপরও রোটেশন অনুযায়ী দিলে সমস্যা হয় না।’
তিনি জানান, সমস্যা এড়াতেই কৃষকদের জানুয়ারির প্রথম থেকেই বোরো আবাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশফাউদৌলা জানান, এবারের চেয়ে আগামী বছর আরও বেশি এলাকায় পানি দেয়ার চেষ্টা করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সে অনুযায়ী পরিকল্পনায়ও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মৌসুমজুড়ে সেচ প্রকল্প এলাকায় মনিটর করবেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিশেষ করে, কেউ যেন পাইপিং করে পানি নিতে না পারেন। এটা করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মঙ্গল জানু. ১৮ , ২০২২
নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে করোনাভাইরাসের টিকার রেজিস্ট্রেশন ও সনদের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এমন অভিযোগ করেছে। আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলার ২১টি স্কুলের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে নিজ স্কুলের ৬৫৪ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। নাম […]
এই রকম আরও খবর
-
২৬ এপ্রিল, ২০২২, ৮:৫২ অপরাহ্ন
-
২৭ আগস্ট, ২০২০, ৬:২৭ অপরাহ্ন
-
২৫ জুলাই, ২০২১, ৮:০৭ অপরাহ্ন
-
২৮ জুন, ২০২২, ১০:২৩ অপরাহ্ন
-
১ জুলাই, ২০২২, ৫:০৯ অপরাহ্ন
-
১০ জুন, ২০২০, ৬:৪৩ অপরাহ্ন