আভা ডেস্কঃ মাঠেই ঈ করতে হবে পুলিশ সদস্যদের, কারণ ছুটি নেই এবার পুলিশের । প্রত্যেকেই নিজ নিজ কর্মস্থলে থেকে দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে । নিশ্চিত করতে হবে নগরবাসী নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি । সম্মূখে থেকে নির্দেশণা পালন করে জানমালের নিরাপত্তাসহ সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার দ্বায়িত পালন এখন পুলিশের বড় চ্যালেঞ্জ । তাই এবারের ঈদে কোন প্রকার ছুটি পাচ্ছে না পুলিশ সদস্যরা । ছুটি না পেলেও দ্বায়িত্ব বাড়ছে বহুগুনে ।
করোনার শুরু থেকেই সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউন নিশ্চিত করা এবং মানুষের সেবায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণসহ নানা কাজ করতে হয়েছে পুলিশ সদস্যদের। এ কাজে সরাসরি অংশ নিতে গিয়ে শতাধিক পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হলেও কার্যক্রমের গতি আরো বেড়েছে। ফলে ঈদেও মিলছে না ছুটি।
করোনা শনাক্তের সংখ্যার হিসাবে ঢাকার পরেই নারায়ণগঞ্জের অবস্থান। ফলে এবারের ঈদ বেশ ব্যস্ততায় কাটবে এই জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের। এবার পরিবার ছাড়া কেমন যাবে পুলিশ সদস্যদের ঈদ, তা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলমের সঙ্গে কথা হয়।
রোববার (২৪ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জানান, অন্যান্য ঈদে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে অনেকেই ছুটি পেলেও এবার একেবারেই কেউ পাননি। এবার ব্যতিক্রম ঈদ পালনে পুলিশ সদস্যরাও প্রস্তুত। চাকুরির শুরু থেকেই মানুষের সেবায় কাজের অঙ্গীকার নিয়ে দায়িত্ব শুরু করা পুলিশ সদস্যরা এবার নিজ নিজ কর্মস্থল তথা রাজপথেই দায়িত্ব পালনে বিশেষ এ দিনটি অতিবাহিত করবেন।
জায়েদুল আলম আরও বলেন, ‘মহাসড়ক, চেকপোস্ট, থানা এবং প্রতিটি পাড়া- মহল্লায় দায়িত্ব পালনের মধ্যেই প্রতিটি পুলিশ সদস্যের ঈদ উদযাপিত হবে। পরিবার ছাড়া ঈদ পালনের কষ্ট হয়তো পুলিশ সদস্যদের মাঝে-মধ্যেই হয়, তবে তারা ঈদের আগে পরে ও ঈদে মিলিয়ে সীমিত আকারে ছুটি পেয়ে থাকেন। এবার তো করোনায় সেই সুযোগ নেই।’
তিনি আর বলেন, ‘এবার প্রতিটি মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে এবং আমাদের দায়িত্বটা সকাল থেকে সেখানেই শুরু হবে। প্রতিটি মসজিদে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে পুলিশের। আমরা নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তায় ২৪ ঘন্টায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লা এলাকায় দায়িত্ব পালন করবো। করোনার এ সময়ে ঈদ পালনে সকল পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে, তাই নগরবাসীকে ঘরেই থাকতে হবে। কাউকে আমরা বাইরে থাকতে দেব না। জরুরি প্রয়োজনে কেউ বের হলেও অবশ্যই সন্ধ্যায় মধ্যেই ঘরে ফিরতে হবে।
‘আমরা প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঈদে বন্ধ থাকা সরকারি অফিস- আদালত, রাষ্ট্রীয় স্থাপনাসহ সবকিছুর নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছি ঈদে। মানুষ যেন ঘরে থেকে নির্ভয়ে ঈদ পালন করতে পারে এবং অপরাধীরা যেন কোনো ধরনের সু্যোগ না পায়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখবেন পুলিশ সদস্যরা’, বলেন তিনি।
ইতোমধ্যে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশে করোনা (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন ১২৮ জন। এদের মধ্যে ৬২ জন সুস্থ হয়ে ফিরেছেন, বাকিরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।