আভা ডেস্কঃ সাইফউদ্দিনের করা বল লং অনে বাউন্ডারির ওপর দিয়ে আছড়ে ফেললেন জিয়াউর রহমান। শূন্যে ঘুষি ছুড়লেন নন-স্ট্রাইকে থাকা মোহাম্মদ আশরাফুল। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ক্রিকেটার-স্টাফরা ছুটে আসলেন মাঠের ভেতর। মাঠে আশরাফুলের উচ্ছ্বাস থামেছেই না। গোধূলি মাখা এই বিকেলের নায়ক যে তিনি।
লিটন দাসের দুর্দান্ত ইনিংসে শেখ জামালকে ১৭৪ রানের টার্গেট দিয়েছিল আবাহনী লিমিটেড। টি-টোয়েন্টিতে যা চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই। মিরপুর শের-ই-বাংলার উইকেট ধরলে তো আরও কঠিন। বৃহস্পতিবার মিরপুরে সেই কঠিনকে সহজ করে ফেললেন আশরাফুল।
যেন ফিরে গেলেন সেই পুরোনো দিনে। মাঠের চার দিকে দারুণ সব শট। আগের ইনিংসে ৫১ বলে ৭০ রানের ইনিংসে আবাহনীর ত্রাতা হয়েছিলে লিটন। তাকে ছাপিয়ে নায়ক আশরাফুল। ৪৮ বলে ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংসে আবাহনীর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সমীকরণ কঠিনই হয়ে গেলো।
আশরাফুল নায়ক হলে পার্শ্ব-নায়ক নুরুল হাসান সোহান-নাসির হোসেন। দুজনেই ২২ বলে সমান ৩৬ রানের ছোটখাটো ঝড় তুলে ফেরেন সাজঘরে। যার জন্য আশরাফুলের কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়। আর শেষ দিকে দিকে জিয়াউরের ৯ বলে ২২ রানের ঝড়ে ৯ বল হাতে থাকতেই দ্রুত জয় পায় শেখ জামাল।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করে আবাহনী। ৫১ বলে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন লিটন। ইবাদত হোসেনকে থার্ডম্যান অঞ্চল দিয়ে চার মেরে ৪৩ বলে দেখা পান হাফ সেঞ্চুরির। ধীরে চলো নীতিতে খেলা লিটন হাফ সেঞ্চুরির পর খেলেন হাত খুলে। জিয়াউর রহমান ডিপ মিড উইকেটে দারুণ ছয় দিয়ে শুরু। এক বল পরেই আবার স্কয়ার লেগে চার।
মিরপুরে ঝরছিল লিটনের চার-ছয়ের ফুলঝুরি। কিন্ত তা বিফলে গেলো আশরাফুলের কাছে। ৮ চার ও ২ ছয়ে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের হাতে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
শেখ জামালের এই জয়ে আবাহনীর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথ জটিল হয়ে গেলো। তাদের বড় বাধা প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ১৫ ম্যাচে আবাহনীর পয়েন্ট ২২ আর এক ম্যাচ কম খেলে প্রাইম ব্যাংকেরও সমান পয়েন্ট।
সন্ধ্যায় প্রাইম দোলেশ্বরের মুখোমুখি হবে প্রাইম ব্যাংক। এই ম্যাচ জিতলেই আরও এগিয়ে যাবে এনামুল হক বিজয়ের দল। তখন শনিবার দুই দলের মুখোমুখি লড়াই রূপ নিবে অলিখিত ফাইনালে। ওই ম্যাচ আবাহনী জিতলে শিরোপা জিতবে রানরেটের হিসাবে।