আভা ডেস্কঃ নবাব পরিবারের মেয়ে তিনি। সোহা আলী খান। ছোটবেলার বেশির ভাগ সময়ই তার কেটেছে হরিয়ানার পতৌদি প্যালেসে। প্যালেসে থাকলেও খুব সাধারণ জীবন যাপন করতেন তারা। ভারতীয় এক দৈনিককে পতৌদি প্যালেস নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন মনসুর আলী খান পাতৌদিতনয় সোহা আলী খান।
বাবা-মায়ের সঙ্গে কত স্মৃতি! সেই ছোটবেলার। পতৌদি প্যালেসের। এসব কী ভোলা যায়! ভোলা যায় না। সোহা আলী খানও ভুলতে পারেননি। জানিয়েছেন, তার ছোটবেলার বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন পতৌদি প্যালেসে। তাই সেখানে পৌঁছলেই আলাদা শান্তি খুঁজে পান।
সোহা জানান, তথাকথিত ভাষায় ‘ওল্ড ওয়ারল্ড চার্ম’ যেমন হয়, ঠিক পতৌদি প্যালেসের কোনায় কোনায় তার ছোটবেলার দিন জড়িত। প্রাসাদ হলেও অত্যন্ত সাধারণ ভাবেই সময় কাটাতেন তারা। বেশির ভাগ সময় কারেন্ট থাকত না, আলো নেই, জল নেই। বাইরে মশারি টানিয়ে ঘুমাতেন সবাই। তখন মোবাইল ফোন ছিল না, এসি ছিল না, কিন্তু একরাশ ভালোবাসা জড়িয়ে ছিল সবার মধ্যে।
শুধু তা-ই নয়, সোহা আবেগের সুরেই বলেন, ‘ওখানে আমি আমার বাবাকে খুঁজে পাই। যখনই ইচ্ছা হয় বাবার কবরের পাশে গিয়ে বসতে পারি, নিজের মতো কথা বলতে পারি।’ এ কথা অজানা নয়, বাবার সঙ্গে সোহার সম্পর্ক ছিল অন্য ধাঁচের। সবার মধ্যে তিনি ছিলেন বাবার সবচেয়ে প্রিয়।