উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর ভাঙ্গনে নিঃস্ব হয়ে গেছে বাসিন্দারা

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙ্গনের শিকার হয়ে শত শত পরিবারের বসতভিটা, আবাদী জমি, গাছপালা, আমন ফসল কেড়ে নিয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদী। হুমকির মুখে পড়েছে হাজারো মানুষ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সরকারী বেসরকারী স্থাপনা। জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার নদ-নদী দ্বারা বেষ্টিত বেগমগঞ্জ ও সাহেবের আলগা ইউনিয়নে গত এক মাসের ব্যবধানে ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙ্গনে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। ইউনিয়ন দুটির বিভিন্ন গ্রাম এক মাসের ব্যবধানে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবা, মশালের চর,বতুয়াতলী পাড়া, উত্তর বালাডোবা, সাহেবের আলগা ইউনিয়নের গেন্দার আলগা, ঘুঘুমারি জাহাজের আলগা ও কাজিয়ারচর সহ নদী সংলগ্ন এলাকা ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙ্গনের শিকার হয়ে মানবতার জীবনযাপন করছেন অনেকে কেউ আবার ঘরবাড়ি নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে দিশাহারা। বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ইজারাকৃত মোল্লার হাট প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। হাট ইজারাদার মাছের আলী জানান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় মোল্লাহাটে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য কেনা-বেচার জায়গার সংকুলান হয়ে পড়েছে। স্থানীয় চায়ের দোকানি আজিবর রহমান, সাখাওয়াত হোসেন গোপাল উদ্দিন, ইদু দেওয়ানী আব্দুর রাজ্জাক সহ অনেকে জানান গত কয়েক বছরের তুলনায় ২০২০ ইং সালের ভাঙ্গন ছিল ভয়াবহ রূপ অনেকেই অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়ে দিনাতিপাত করছে। ভাঙ্গন রোধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বলে জানান খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর মুখে পড়েছে আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়, নুরনাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুঁদিরকুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বালাডোবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফেডারেশন অফিস আরডিআরএস বাংলাদেশ বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন শাখা অফিস খুঁদিরকুটি বাজার সহ বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী স্থাপনা। স্থানীয় আহাদ আলী খলিফা, মঞ্জু মেকার, আব্দুস সালাম, আহাদ আলী, সৈয়দ আলী, আব্বাস আলী, এছাহাক আলী, সহিদুর রহমান, তাইজুল ইসলাম, মকবুল মিয়া, সেলিম বাবু, ডাক্তার খয়বর আলী, জাকির হোসেন, কামাল হোসেন, আলমগীর, সহিদুর, নুর ইসলাম, ছয়াদ আলী সহ তিন শতাধিক পরিবারের বসতভিটা ও আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় আহাদ আলী জানান, গত এক মাসের ব্যবধানে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনের শিকার হয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে অতি কষ্টের জীবন যাপন করছি। । স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে কোন খোঁজ খবর নেয়নি। ভাঙ্গনের শিকার হয়ে বর্তমানে তাবু টাঙ্গিয়ে আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ, আফতাব গঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ সহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। গত এক সপ্তাহ থেকে ভাঙ্গনের হার একটু কমে গেলেও আতঙ্ক কমেনি এলাকাবাসীর। স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল মন্ডল এ প্রতিবেদককে জানায় ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ২৭কুড়িগ্রাম ৩ মাননীয় সংসদ মহোদয় কে লিখিত আবেদন করা হয়েছে ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। তাছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেনকে কয়েক দফায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। এমনকি ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করার জন্য কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীরা ভাঙ্গনরোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণ সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

Next Post

বগুড়ায় বিএসটিআই’র এর উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে পালিত হয়েছে ৫১তম বিশ্ব মান দিবস

বুধ অক্টো. ১৪ , ২০২০
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পণ্য এবং সেবার মানের বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বহির্বিশে^র সাথে মিল রেখে সারাদেশের মতো বগুড়াতে বিএসটিআই জেলা অফিস, বগুড়া এর উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে ৫১তম বিশ্ব মান দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘পৃথিবী সুরক্ষায় মান’।  দিবসটি উপলক্ষ্যে ১৪ অক্টোবর, ২০২০ খ্রিঃ (বুধবার) সকাল ১১.০০ ঘটিকায় বগুড়া জেলা […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links