আভা ডেস্ক : উত্তাল সাগর থেকে সুন্দরবনে এসে অপহৃত হওয়া ট্রলার এফবি মা-মণির ১২ জেলেকে ছেড়ে দিয়েছে জলদস্যুরা। মুক্তিপণ পরিশোধের শর্তে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। শনিবার ট্রলারটি নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে আড়পাঙ্গাশিয়া পৌঁছলে দস্যুরা ১৬ জেলেকে অপহরণ করে। ২ দিন পর সোমবার ৪ জেলেকে জিম্মি রেখে ১২ জনকে ছেড়ে দেয়। বিকালে ফিরে আসা জেলে আরিফ জানান, উত্তাল সাগর থেকে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার এফবি মা-মণি ট্রলারটি জেলেদের নিয়ে সুন্দরবনের আড়পাঙ্গাশিয়া পৌঁছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা জলদস্যুদের কবলে পড়েন। দস্যুরা ৪ জেলে আবদুল খালেক, মো. শাহিন, শাহারুন মোল্লা ও আবদুল ওহাব আলী খানকে জিম্মি হিসেবে রেখেছে। মুক্তিপণ দিয়ে তাদের ফেরত আনার শর্তে ১২ জেলেকে ছেড়ে দেয়। ছাড়া পাওয়া ওই জেলে দস্যুদের দাবিকৃত টাকার অঙ্ক এবং দস্যু বাহিনীর নাম জানায়নি। কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লে. মাহমুদ বলেন, জিম্মি ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
৯৮ জেলে উদ্ধার ৯২ জনের খোঁজ মেলেনি : শনিবার বৈরী আবহাওয়ায় সাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় ৯৮ জেলে উদ্ধার হলেও ৭ ট্রলারসহ ৯২ জেলের খোঁজ এখনও মেলেনি। সাগরের তীরে অপেক্ষমাণ উদ্বিগ্ন স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হচ্ছে বাতাস। তিন দিনেও সন্ধান না পাওয়ায় ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর জেলেদের সলিল সমাধি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে সুন্দরবন সংলগ্ন সাগরে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি, জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী পৃথক পৃথক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লে. মাহমুদ জানান, নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে অতিরিক্ত জাহাজ অভিযানে রয়েছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, ডুবে যাওয়া মাছ ধরার ৭ ট্রলারের ৯৮ জেলেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনও ৯২ জেলের কোনো খোঁজ মেলেনি। শনিবার সকালে উত্তাল সাগরের নারিকেলবাড়িয়া ও ফেয়ারওয়ে বয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ট্রলারগুলো ডুবে যায়। ডুবে যাওয়ার একদিন পর রোববার ৭ ট্রলারের ৯৮ জেলেকে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে এফবি রেবার ১৯, এফবি অর্কের ১৯, এফবি তারেক-১-এর ১৬, এফবি জুয়েলের ১৪, এফবি ভাই ভাইয়ের ১০, এফবি শাহজালালের ১ ও আলআবদুল্লাহর ১৯ জেলে রয়েছেন।
যুগান্তর